দোয়ারাবাজারে মসজিদের টাকা কালেকশন’র সময় যুবকের হাত কাটায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

- আপডেট সময় : ০৪:৪২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
- / 79
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে অসামাজিক কাজে বাঁধা দেওয়ায় আফাজ উদ্দিন (৩৫) নামে টুকেরগাঁও মসজিদ কমিটির কালেক্টরকে কুপিয়ে হাত কাঁটার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের টুকেরগাঁও (হাবিবনগর) গ্রামে, গ্রামবাসীর ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকালে টুকেরগাঁও গ্রামের নজরুল ইসলামে পুত্র শাহ আলম (৩২) এর চায়ের দোকানে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে গেলো ৩০ অক্টোবর আহতের ভাই হাবিবুর রহমান (৪৫) বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে এ সক্রান্ত একটা মামলা দায়ের করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আহত আফাজ উদ্দিন টুকেরগাঁও গ্রামের মসজিদ কমিটির সদস্য (কালেক্টর) , প্রতি দিনের ন্যায় ঘটনার দিন শুক্রবার সকালে মসজিদের অর্থ কালেকশন করে শাহ আলমের দোকানে চা খেতে আসেন আফাজ উদ্দিন। এর কিছুক্ষনের পর একই গ্রামের প্রতিবেশি ইদ্রীস আলী’র পুত্র আজিজুল হক (৩৫) মাথায় গামছা পেছিয়ে হাতে দা নিয়ে আসে এবং আফাজ উদ্দিনকে দোকান ঘরের বিতরে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে,এসময় আজিজুল হকের পিতা ইদ্রীস আলী (৬০), তার ভাই এমদাদুল হক (৩০) এবং বোন সুমা আক্তার (২৫) দা,ছুরি এবং নানান অস্ত্র -সস্ত্র নিয়ে আফাজ উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করে।
স্থানীয়রা আরো জানান, মামলায় অভিযুক্তদের বোন সুমা আক্তার (২৫) বিয়ে হওয়ার পর থেকেও স্বামীর বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। আর এতে করে এলাকায় উঠতি বয়সি যুবকদের সাথে একের পর এক পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে সে। বেশ কয়েকদিন আগে এমন অসামাজিক কার্যকলাপে ধরা খাওয়ায় সামাজিক ভাবে বিচার শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে রাত্রীবেলায় আরো একবার অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় আফাজ উদ্দিন ও টুকেরগাঁও গ্রামের কয়েকজন যুবক সুমা আক্তারকে আটক করে। এসময় মানুষের উপস্থিতি ঠের পেয়ে সুমা আক্তারকে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায় তার পরকীয়া প্রমিক যুবক। পরে এলাকার মানুষ জড়ো হয়ে সুমা আক্তারের সাথে থাকা ব্যবহারিক বিভিন্ন সামগ্রী দেখতে পেয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরই জের ধরে সুমা আক্তার ও তার ভাইয়েরা বিভিন্ন সময় উৎপেতে থাকে আফাজ উদ্দিনের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। পূর্বের এসব পরিকল্পনা অনুযায়ী সময় সুযোগে পেয়ে ১২ অক্টোবর আফাজ উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন,
এই ঘটনার গুরুতর আহত আফাজ উদ্দিনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। আহত আফাজ উদ্দিনের হাতের হাড় কেটে যাওয়ায় বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন এবং শীগ্রই তার হাতের অপারেশন না করালে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরতে পারেন বলে জানিয়েছেন তারা।
এবিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার এসআই আব্দুল জলিল বলেন,ঘটনার পর অভিযুক্তরাই আবার প্রথমে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গেলে এবং স্থানীয়দের সাথে আলোচনা করলে জানা যায় ভিন্ন তথ্য, উঠে আসে আসল কাহিনী।
তিনি জানান,পরে এঘটনায় আহতের ভাই বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। কাগজ হাতে পেয়েছি। দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক জানান, এবিষয়ে আহতদের পক্ষ হতে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার কপি থানায় আসছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।