অধ্যক্ষ অপসারণের দাবিতে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন
- আপডেট সময় : ০৪:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
- / 13
সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে অধ্যক্ষ মো. সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ এনে তাঁর অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছেন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সকাল থেকেই তারা প্ল্যাকার্ড হাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন এবং “দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের অপসারণ চাই”, “শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে দাও”, “স্বজনপ্রীতির অবসান ঘটাও”— এসব স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ মো. সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে অতীতেও একাধিক প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, পদোন্নতিতে অনিয়ম এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ছিল। এসব অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আপন মিয়া বলেন, একজন বিতর্কিত ব্যক্তির হাতে আমাদের প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব দেওয়া মানে শিক্ষার পরিবেশকে ধ্বংস করা। আমরা এমন একজন অধ্যক্ষকে চাই, যিনি ন্যায়পরায়ণ, সৎ ও শিক্ষার্থীবান্ধব। তাই আমরা তাঁর অবিলম্বে অপসারণ দাবি করছি।
অন্য শিক্ষার্থী রেজাউল হক লিটন বলেন, আমাদের দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরব না। আমরা চাই এই ইনস্টিটিউট দুর্নীতিমুক্ত হোক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্বচ্ছ প্রশাসনিক পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, অধ্যক্ষের অনিয়মের কারণে বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে স্বজনপ্রীতি দেখা দিচ্ছে, এমনকি শিক্ষার্থীদের অভিযোগও উপেক্ষা করা হচ্ছে।
এ সময় আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আমিন উদ্দিন, তাওহিদুল হাসান তামিম, অপূর্ব চৌধুরী, নাসিমুল হক নাসিম, হাফিজুর রহমান, মাহদি হাসান, জিন্নাতুল হক আকাশ, মসহিন খানসহ আরও অনেকে।
শিক্ষার্থীরা দাবি জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষ যদি তাদের দাবি মেনে অধ্যক্ষকে অপসারণ না করে, তবে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের দপ্তর ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচিরও ঘোষণা দেবেন।
অন্যদিকে, অধ্যক্ষ মো. সোহরাব হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


















