সংবাদ শিরোনাম ::
যাদুকাটা সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
- আপডেট সময় : ০৪:০৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫
- / 310
তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদীর উপর নির্মিতব্য সেতুর নির্মাণ কাজ পুনরায় চালু করা এবং অতি দ্রুত সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার সকাল এগারোটায় সেতুর পশ্চিম পাড়ে গড়কাটি গ্রামের পাশে অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে আশেপাশের ঘাগটিয়া, গড়কাটি, সুন্দর পাহাড়ি, জালর টেক, মানি গাঁও আদর্শ গ্রাম ও জামবাগ, বাদাঘাট, মোল্লা পাড়া ও কামড়াবন্দ গ্রামের কয়েকশো মানুষ যোগ দেন। স্থানীয় ঘাগটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার রায় এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যাদুকাটা সেতু আমাদের স্বপ্নের সেতু। এই এলাকার মানুষ এটাকে পদ্মা সেতুর মতোই মনে করেন। সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে কম খরচে কম সময়ে এলাকার লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করতে পারতেন। সুবিধা পেতেন পর্যটকরাও। আজ থেকে সাত বছর আগে সেতুর কাজের উদ্বোধন হয়েছিল। কথা ছিল আড়াই বছরে সেতুর কাজ শেষ হবে কিন্তু সাত বছরেও সেতুর কাজ শেষ হয়নি। গত এক বছর যাবৎ সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে। আমরা অতি দ্রুত সেতুটির নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুটির কাজ শেষ করার দাবি জানাই। দ্রুত কাজ শেষ না হলে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপিসহ বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন বক্তারা।
মানববন্ধনে লেখক ও সমাজকর্মী আবুল হোসেন, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা, গণকল্যান ফাউন্ডেশন তাহিরপুরের সভাপতি সারোয়ার হাসান, তাহিরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের এমসি কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন, ঘাগটিয়া গণগ্রন্থাগারের আহ্বায়ক অমিও হাসান, প্রবোধ চন্দ্র রায়, সমাজকর্মী মাওলানা দেলোয়ার, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর কেন্দ্রীয় সদস্য সালমান আহমেদ সুজন, চিকিৎসাসেবা ফাউন্ডেশনের সদস্য নাজমুল ইসলাম, সমাজকর্মী গোলাম শহীদ, মানবজমিন সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি এমএ রাজ্জাক, জনকণ্ঠ তাহিরপুর প্রতিনিধি আবির হাসান-মানিক, শিক্ষক পল্টু রায়, মুফতি নেছার আহমেদ, সুন্দর পাহাড়ি গ্রামের পক্ষে নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদীর ওপর ১২ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে এই সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ৭৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি শাহ আরেফিন (র.) ও অদ্বৈত মহাপ্রভু মৈত্রী সেতু নামে নামকরণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৭৫০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুর জন্য ৮৫ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার ৬৭৮ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কন্সট্রাকশনের সঙ্গে চুক্তি হয়। ৪ দফা সময় বাড়িয়ে এ পর্যন্ত কাজ করা হয়েছে ৭৫ শতাংশ। তারা বিল নিয়েছে ৭৮ ভাগেরও বেশি। তারা ইতোমধ্যে ৬৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা বিল উত্তোলন করেছে। কাজের চেয়ে ১ কোটি টাকা বেশি বিল নিলেও সেতুর নির্মাণ কাজ এখনো থমকে আছে।
গত এক বছর আগে সেতুর সবক’টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। স্পেন ১৫ টির মধ্যে ১২টি হয়েছে। ৭৫টি গার্ডারের মধ্যে ৬০ টির কাজ শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০টি গার্ডার ও ৩টি স্পেন নির্মাণের কাজ বাকি রয়েছে।