ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

খুশির—কবরের পাশে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সহপাঠীরা

নাঈম আব্দুল্লাহ, স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট সময় : ০২:৫৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • / 76
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শান্তিগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা জাহান খুশি—জন্মদিনে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করার কথা ছিল তার। কিন্তু সেই বিশেষ দিনই পরিণত হয় এক মর্মান্তিক বিদায়ে।

গত ৬ আগস্ট দুপুরে সুনামগঞ্জ–সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বাহাদুরপুর এলাকায় বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। দুর্ঘটনার সময় খুশি ছিলেন সুনামগঞ্জগামী একটি সিএনজিতে। বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে তার মরদেহ বিকৃত হয়ে যায়, প্রথমে বাবা দেলোয়ার হোসেন চিনতেও পারেননি মেয়েকে।

খুশি ছিলেন সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আরপিননগর এলাকার বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য দেলোয়ার হোসেনের কনিষ্ঠ কন্যা। শান্তিগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি। জন্মদিনের সকালে না খেয়েই বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছিলেন, পরিকল্পনা ছিল বিশেষ খাওয়াদাওয়ার। কিন্তু সেই আনন্দ ভেসে যায় রক্তে।

আজ (১২ আগস্ট) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে খুশির কবর জিয়ারতে তার সহপাঠী ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হন। তারা খুশির বাবা ও মামার সঙ্গে থেকে জিয়ারতের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এবং পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সহপাঠীরা জানান, খুশি ছিলেন সবার প্রিয় ও সহায়ক। দুর্ঘটনায় তার অকাল মৃত্যু তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

খুশির—কবরের পাশে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সহপাঠীরা

আপডেট সময় : ০২:৫৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

শান্তিগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা জাহান খুশি—জন্মদিনে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করার কথা ছিল তার। কিন্তু সেই বিশেষ দিনই পরিণত হয় এক মর্মান্তিক বিদায়ে।

গত ৬ আগস্ট দুপুরে সুনামগঞ্জ–সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বাহাদুরপুর এলাকায় বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। দুর্ঘটনার সময় খুশি ছিলেন সুনামগঞ্জগামী একটি সিএনজিতে। বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে তার মরদেহ বিকৃত হয়ে যায়, প্রথমে বাবা দেলোয়ার হোসেন চিনতেও পারেননি মেয়েকে।

খুশি ছিলেন সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আরপিননগর এলাকার বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য দেলোয়ার হোসেনের কনিষ্ঠ কন্যা। শান্তিগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি। জন্মদিনের সকালে না খেয়েই বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছিলেন, পরিকল্পনা ছিল বিশেষ খাওয়াদাওয়ার। কিন্তু সেই আনন্দ ভেসে যায় রক্তে।

আজ (১২ আগস্ট) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে খুশির কবর জিয়ারতে তার সহপাঠী ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হন। তারা খুশির বাবা ও মামার সঙ্গে থেকে জিয়ারতের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এবং পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সহপাঠীরা জানান, খুশি ছিলেন সবার প্রিয় ও সহায়ক। দুর্ঘটনায় তার অকাল মৃত্যু তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।