শাহবাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পলিটিক্যাল থিংকারস—বিপিটির ব্যানারে বক্তারা বলেন, ইসকনের বিরুদ্ধে গুম-খুনসহ নানা অপরাধের অভিযোগ তদন্ত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
উগ্র কর্মকাণ্ড ও গুমের অভিযোগে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি নাগরিকসমাজের
- আপডেট সময় : ০২:০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
- / 23
উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন উদ্বিগ্ন নাগরিকসমাজ। গুম-খুনসহ নানা অপরাধে যুক্ত থাকায় এই দাবি তোলা হয় শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে।
বাংলাদেশ পলিটিক্যাল থিংকারসের (বিপিটি) ব্যানারে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর প্রকৌশলী মো. নুর নবী। প্রকৌশলী আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুইবার গুম হওয়া লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বীরপ্রতীক। এছাড়া বক্তব্য দেন বিপিটির সদস্য ও গুমবিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট রায়হান চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসিনুর রহমান বলেন, “দেশে গুমের পুনরাবৃতি দুঃখজনক। ইসকনের প্রতি নানা উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের কথা শোনা গেলেও এবার গুমের অভিযোগ উঠেছে, যা অত্যন্ত আপত্তিকর। তদন্তে ইসকন যদি দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের পুলিশ প্রশিক্ষিত বাহিনী। তারা অপরাধ তদন্ত করে বের করতে সক্ষম। আমি মনে করি, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাহী আদেশে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করবেন এবং যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনবেন।”
লিখিত বক্তব্যে প্রকৌশলী নুর নবী বলেন, “অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, গুমের সংস্কৃতি বছর না ঘুরতেই আবার ফিরে এসেছে। সম্প্রতি দুটি গুমের ঘটনা দেশজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কে এম মামুনুর রশিদ এবং টঙ্গীর বিটিসিএল জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহিবুল্লাহ মাদানীর নিখোঁজ হওয়া।”
তিনি আরও বলেন, “আগস্ট বিপ্লবের পর দেশে গুমের ঘটনা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো নাগরিক গুমের শিকার হবে না—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপিটির মিডিয়া সেলের সদস্য জাফর আহমেদ, প্রকৌশলী মুহিবুর রহমান, মো. মোরশেদ আলম, মাওলানা কামাল উদ্দিন প্রমুখ।






















