ছিদ্দিকুর রহমানকে প্রধান শিক্ষক পদে পুনঃর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন

- আপডেট সময় : ০৫:২১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
তাহিরপুর প্রতিনিধি:
তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী হাজী এলাহী বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ছিদ্দিকুর রহমানকে পুনঃর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
.
আজ বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় স্কুলের মূল ফটের সামনে অনুষ্ঠিত সভায় ডা. মো: নূরুল আমিনের সভাপতিত্বে ও শেখ সামায়ুন রাশেদের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ সুহেল আলম।
.
বক্তব্য রাখেন শ্রমিকনেতা ফেরদৌস আলম, বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল মিয়া, ছয়ফুল আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গুলেনূর মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, এডভোকেট ফয়সল আবেদীন সেনা, সাবেক মেম্বার মিলন তালুকদার, আনোয়ারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সামায়ুন কবীর, ফারুক আহমদ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জিয়া উদ্দিন, জিল্লুর রহমান, বাদল মিয়া, সোহেল আহমদ সাজু, রেজা তালুকদার, মোঃ সাইদুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কাউসার বক্স তালুকদার, সাজিদ মিয়া, ফিরোজ আহমদ মাহদী প্রমুখ।
.
জানা যায়, ছিদ্দিকুর রহমান বালিজুরী হাজী এলাহী বক্স হাই স্কুলে ১৮ বছর প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ২০১৭ সালে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে তাঁকে চাকুরীচুত করা হয়।
.
চাকুরিচ্যুত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিগত ০৪/০২/২০১৮ ও ০১/০৮/২০১৮ তারিখে ১০ দিনের মধ্যে ছিদ্দিকুর রহমানকে স্বপদে পুনঃর্বহালের ২টি আদেশ দেন
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট। কমিটি সেই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানির শেষে আদালত বোর্ডের আদেশের পক্ষে রায় দেন।
.
কমিটির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আবেদন করলে গত ২৩ জুন, ২০২৩ খ্রি. সভাপতির আবেদনটি খারিজ করে দেন মহামান্য হাইকোর্ট। এর মধ্যে বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ হোসেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে একটা মধ্যস্থতার পরিবেশ তৈরি হয়। ইতোপূর্বে কমিটির দেওয়া একটি নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে আদালতে মামলা করেছিলেন প্রধান শিক্ষক ছিদ্দিকুর রহমান। সভাপতি ঐ মামলাটি তুলে নিলে পদ হাইকোর্টের আদেশ মেনে নিবেন বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানান। প্রধান শিক্ষক এই প্রস্তাবে রাজি না থাকলেও মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধ প্রস্তাবে সম্মত হন এবং মামলাটি তুলে নেন।
.
এদিকে মামলা তুলে নেওয়ার পরই সভাপতি তার কথার বরখেলাপ করেন এবং মধ্যস্থতাকারীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন। মহামান্য আদালত গত ২৬ জুন সভাপতির আপিল আবেদনে নো অর্ডার দেন। সভাপতি ও কমিটির এহেন আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এলাকাবাসী।
এদিকে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র কর্তৃক ছিদ্দিকুর রহমানকে স্কুল ছাড়া করার পায়তারা বন্ধ করে আগামী ২ জুলাই প্রধান শিক্ষকের পদ ফিরিয়ে না দিলে ৯ জুলাই থেকে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচীর ঘোষণা দেন বক্তারা।
মানববন্ধনে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাবেক শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকার সবর্বস্তরের কয়েক শত জনগণ উপস্থিত ছিলেন।