সুনামগঞ্জ ০২:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাতকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দীক গ্রেফতার দোয়ারাবাজারের ইউএনও নেহের নিগার তনু’র প্রত্যাহারের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারের বরাবর আবেদন কাঠইর ইউনিয়নে জামায়াতের গণসংযোগ শান্তিগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন শিল্পপতি মইনুল ইসলাম বোরো ধান সংগ্রহে মিলার ও খাদ‍্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা সুনামগঞ্জে বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র বৃদ্ধির দাবি বিএনপির সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ তাহিরপুরে ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল চালকের ঝড়ে উড়ে গেল ভূমিহীন পরিবারের ঘর, নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই ট্রাইবেকারে জিতে থ্রি ব্রাদার্স স্পোর্টিং ক্লাব ফাইনালে

নতুন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১৪৫ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আমার সুনামগঞ্জ ডেস্কঃ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল

এছাড়া নির্বাচন কমিশনাররা হলেন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে তাঁদের নিয়োগ দিয়েছেন। আজ শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের ফাইল রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নতুন ইসি গঠনে পাঁচজনের চূড়ান্ত নামের তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পাঠান।

জানা যায়, ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে বিচার বিভাগে শুরু হয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের কর্মজীবন। একনিষ্ঠ কর্মজীবনের স্বীকৃতি স্বরূপ আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে সুপার নিউমারারি সচিব করা হয় তাঁকে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় প্রথমে ধর্ম সচিব, পরে প্রতিরক্ষা সচিব হিসাবে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে তার চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ায় সরকার। সে অনুযায়ী, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ১৭ জানুয়ারি অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল হাবিবুল আউয়ালের। কিন্তু পরের বছরের ২১ জানুয়ারি পিআরএল বাতিল করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয় কাজী হাবিবুল আউয়ালকে।

সাগর কোলের সন্দ্বীপ থেকে শহুরে জীবনে অভিবাসী হওয়া পিতার কর্মসূত্রে তিনি ঘুরেছেন শহর থেকে শহরে। বাবার হাত ধরেই বিভিন্ন জেলা শহরে শৈশব ও কৈশোর কেটেছে তার। তাই শৈশব-কৈশোরে দেখা সমাজ, পারিপার্শ্বিকতা, অভাব, দারিদ্র ও প্রাচুর্যহীন অবিলাসি, নিরাভরণ, সাধারণ ও সরল জীবনাচারের চর্চা তার স্বভাবজাত। মাটি ও মানুষ তাঁকে খুব বেশী টানে। তার সঙ্গে ইতিহাসের উপজীব্য রাজনীতির বিবর্তন, বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ দেখার অভিজ্ঞতা কাজী হাবিবুল আউয়ালকে করে তুলেছে আরও পরিণত। তার ‘ট্রাজেকটরি অব এ জুডিশিয়াল অফিসার’, ‘জীবন পাতার জলছাপ’ ও ‘মেমোয়ারস অব আরলি লাইফ’ গ্রন্থে তাঁর সেই পরিপক্ক মানসিকতা ও বাস্তবমুখী দূরদর্শীতা প্রস্ফূটিত।

বিভিন্ন সময়ে তিনি রাষ্ট্র ও সরকাররকে বিভিন্নভাবে সেবা দিয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের খসড়া প্রস্তুতের সরকারের পরামর্শক হিসেবেও অবদান রাখেন তিনি। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে আইন করার উদ্যোগ নিলেও নানা কারণে খসড়া চূড়ান্ত করা যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নতুন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল

আপডেট সময় : ০৩:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আমার সুনামগঞ্জ ডেস্কঃ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল

এছাড়া নির্বাচন কমিশনাররা হলেন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে তাঁদের নিয়োগ দিয়েছেন। আজ শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের ফাইল রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নতুন ইসি গঠনে পাঁচজনের চূড়ান্ত নামের তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পাঠান।

জানা যায়, ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে বিচার বিভাগে শুরু হয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের কর্মজীবন। একনিষ্ঠ কর্মজীবনের স্বীকৃতি স্বরূপ আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে সুপার নিউমারারি সচিব করা হয় তাঁকে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় প্রথমে ধর্ম সচিব, পরে প্রতিরক্ষা সচিব হিসাবে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে তার চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ায় সরকার। সে অনুযায়ী, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ১৭ জানুয়ারি অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল হাবিবুল আউয়ালের। কিন্তু পরের বছরের ২১ জানুয়ারি পিআরএল বাতিল করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয় কাজী হাবিবুল আউয়ালকে।

সাগর কোলের সন্দ্বীপ থেকে শহুরে জীবনে অভিবাসী হওয়া পিতার কর্মসূত্রে তিনি ঘুরেছেন শহর থেকে শহরে। বাবার হাত ধরেই বিভিন্ন জেলা শহরে শৈশব ও কৈশোর কেটেছে তার। তাই শৈশব-কৈশোরে দেখা সমাজ, পারিপার্শ্বিকতা, অভাব, দারিদ্র ও প্রাচুর্যহীন অবিলাসি, নিরাভরণ, সাধারণ ও সরল জীবনাচারের চর্চা তার স্বভাবজাত। মাটি ও মানুষ তাঁকে খুব বেশী টানে। তার সঙ্গে ইতিহাসের উপজীব্য রাজনীতির বিবর্তন, বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ দেখার অভিজ্ঞতা কাজী হাবিবুল আউয়ালকে করে তুলেছে আরও পরিণত। তার ‘ট্রাজেকটরি অব এ জুডিশিয়াল অফিসার’, ‘জীবন পাতার জলছাপ’ ও ‘মেমোয়ারস অব আরলি লাইফ’ গ্রন্থে তাঁর সেই পরিপক্ক মানসিকতা ও বাস্তবমুখী দূরদর্শীতা প্রস্ফূটিত।

বিভিন্ন সময়ে তিনি রাষ্ট্র ও সরকাররকে বিভিন্নভাবে সেবা দিয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের খসড়া প্রস্তুতের সরকারের পরামর্শক হিসেবেও অবদান রাখেন তিনি। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে আইন করার উদ্যোগ নিলেও নানা কারণে খসড়া চূড়ান্ত করা যায়নি।