সুনামগঞ্জ ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রেনেসাঁ ইসলামিক সোসাইটির উদ্যোগে ফ্রি ব্লাডগ্রুপ নির্নয় তাহিরপুরে আগুনে পুড়ে ছাই বসতঘর, ১৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি  পুরান বারুংকা মডেল মাদরাসায় ফ্রি চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত তাহিরপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি’র হামদ নাত ক্বিরাত প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন সততা ও দক্ষতা ব্যবসার মূল পূঁজি : মোঃ শহিদুল ইসলাম ছাতকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দীক গ্রেফতার দোয়ারাবাজারের ইউএনও নেহের নিগার তনু’র প্রত্যাহারের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারের বরাবর আবেদন কাঠইর ইউনিয়নে জামায়াতের গণসংযোগ শান্তিগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন শিল্পপতি মইনুল ইসলাম বোরো ধান সংগ্রহে মিলার ও খাদ‍্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা

আধুনিক মাছ বাজার নির্মান সময়ের দাবী

ছাতকে ৫০ বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে বিক্রি হচ্ছে মাছ

মীর আমান মিয়া লুমান, ছাতক থেকে
  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪ ৯২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছাতক পৌর শহরের সুরমা নদীর পাড়ে খোলা আকাশের নিচে বসে ৫০ বছর ধরে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাছ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। জেলা প্রশাসকের এক নং খতিয়ান ভূক্ত প্রায় এক একর জায়গায়র উপর ১৯৮১ সালে জেলার মধ্যে প্রথম রেজিষ্ট্রাডকৃত রেজি নং ১৭৪৭ অন্তর্ভুক্ত হয় ছাতক বাজার ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড।

উপজেলার এ মাছ বাজারে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটলেও নেই কোন নাগরিক সুযোগ সুবিধা। বাজারটি পাকা না থাকায় সেঁতসেঁতে কর্দমাক্ত অবস্থায় মাছ কেনা বেচা করতে হয়। স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকায় মাছ বিক্রেতারা হাত ধুঁয়া সহ প্রশ্রাব পায়খানায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

প্রায় ৪০ বছর আগে একটি সেড নির্মান করলেও টিনে মরিচা পড়ে সেডটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে মানুষ বসার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় আড়াইশ থেকে তিনশ মাছ ব্যবসায়ী জরাজীর্ণ, সেঁতসেঁতে খোলা আকাশের নিচে সামিয়ানা টাঙ্গানো অবস্থায় বৃষ্টি আসলে ক্রেতারা দিক বিদিক ছুটাছুটি করে অন্যত্র আশ্রয় নিলে বাজারটি খালি হয়ে গেলে ব্যবসায়ীরা অনিশ্চিতয়তার মধ্যে পড়ে। অনেক সময় বিক্রি না করতে পেরে মাছ গুলো নদীতে ও ফেলে দিতে হয়। পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেক ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ীরা। বাজারের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ না থাকায় অনেক যায়গা বেদখল হয়ে পড়েছে। বাজারের পাশে কসাই পট্টি থাকায় গরু-ছাগলের বর্জ্য আবর্জনা ফেলায় দর্গন্ধে ক্রেতা-বিক্রেতারা নাক চেপে বাজারে হাঁটতে হয়। এতে পরিবেশের ও মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আর সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ীরা। নতুন ভবন নির্মাণ, একটি নলকূপ স্থাপন, বর্জ্য আবর্জনা অন্যত্র সরিয়ে নেয়া সহ একটি আধুনিক মাছ বাজার নির্মানে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া এখানকার মাছ ব্যবসায়ীদের জোর দাবী।

এ ব্যাপারে মৎস্য ব্যবসায়ী লিলু মিয়া বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় আছি। আবর্জনার স্তূপের উপরে বসে মাছ বিক্রি করছি।

এ ব্যাপারে ছাতক বাজার ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডর সভাপতি বাবুল মিয়া বলেন, প্রতিবছর আমরা ৭-৮ লক্ষ টাকায় পৌর সভা থেকে বাজারটি লীজ আনলেও পৌর সভা আমাদেরকে নূন্যতম সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে না। আমরা বাজারের দ্রুত সংস্কার চাই।

এ ব্যাপারে ছাতক বাজার বালি উত্তোলন ও সরবরাহ কারি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা মাছ বাজারটি প্রতিষ্টা করতে সহায়তা করলেও দীর্ঘদিন ধরে কোন সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় বাজারটিতে মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত একটি আধুনিক মাছ বাজার নির্মান এখন সময়ের দাবী।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান আগামী মাসে কিচেন মার্কেটের একটা টেন্ডার হবে তবে আধুনিক মাছ বাজার নির্মানে আপাতত কোন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আধুনিক মাছ বাজার নির্মান সময়ের দাবী

ছাতকে ৫০ বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে বিক্রি হচ্ছে মাছ

আপডেট সময় : ১২:৫৪:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

ছাতক পৌর শহরের সুরমা নদীর পাড়ে খোলা আকাশের নিচে বসে ৫০ বছর ধরে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাছ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। জেলা প্রশাসকের এক নং খতিয়ান ভূক্ত প্রায় এক একর জায়গায়র উপর ১৯৮১ সালে জেলার মধ্যে প্রথম রেজিষ্ট্রাডকৃত রেজি নং ১৭৪৭ অন্তর্ভুক্ত হয় ছাতক বাজার ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড।

উপজেলার এ মাছ বাজারে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটলেও নেই কোন নাগরিক সুযোগ সুবিধা। বাজারটি পাকা না থাকায় সেঁতসেঁতে কর্দমাক্ত অবস্থায় মাছ কেনা বেচা করতে হয়। স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকায় মাছ বিক্রেতারা হাত ধুঁয়া সহ প্রশ্রাব পায়খানায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

প্রায় ৪০ বছর আগে একটি সেড নির্মান করলেও টিনে মরিচা পড়ে সেডটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে মানুষ বসার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় আড়াইশ থেকে তিনশ মাছ ব্যবসায়ী জরাজীর্ণ, সেঁতসেঁতে খোলা আকাশের নিচে সামিয়ানা টাঙ্গানো অবস্থায় বৃষ্টি আসলে ক্রেতারা দিক বিদিক ছুটাছুটি করে অন্যত্র আশ্রয় নিলে বাজারটি খালি হয়ে গেলে ব্যবসায়ীরা অনিশ্চিতয়তার মধ্যে পড়ে। অনেক সময় বিক্রি না করতে পেরে মাছ গুলো নদীতে ও ফেলে দিতে হয়। পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেক ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ীরা। বাজারের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ না থাকায় অনেক যায়গা বেদখল হয়ে পড়েছে। বাজারের পাশে কসাই পট্টি থাকায় গরু-ছাগলের বর্জ্য আবর্জনা ফেলায় দর্গন্ধে ক্রেতা-বিক্রেতারা নাক চেপে বাজারে হাঁটতে হয়। এতে পরিবেশের ও মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আর সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ীরা। নতুন ভবন নির্মাণ, একটি নলকূপ স্থাপন, বর্জ্য আবর্জনা অন্যত্র সরিয়ে নেয়া সহ একটি আধুনিক মাছ বাজার নির্মানে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া এখানকার মাছ ব্যবসায়ীদের জোর দাবী।

এ ব্যাপারে মৎস্য ব্যবসায়ী লিলু মিয়া বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় আছি। আবর্জনার স্তূপের উপরে বসে মাছ বিক্রি করছি।

এ ব্যাপারে ছাতক বাজার ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডর সভাপতি বাবুল মিয়া বলেন, প্রতিবছর আমরা ৭-৮ লক্ষ টাকায় পৌর সভা থেকে বাজারটি লীজ আনলেও পৌর সভা আমাদেরকে নূন্যতম সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে না। আমরা বাজারের দ্রুত সংস্কার চাই।

এ ব্যাপারে ছাতক বাজার বালি উত্তোলন ও সরবরাহ কারি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা মাছ বাজারটি প্রতিষ্টা করতে সহায়তা করলেও দীর্ঘদিন ধরে কোন সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় বাজারটিতে মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত একটি আধুনিক মাছ বাজার নির্মান এখন সময়ের দাবী।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান আগামী মাসে কিচেন মার্কেটের একটা টেন্ডার হবে তবে আধুনিক মাছ বাজার নির্মানে আপাতত কোন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় নেই।