সুনামগঞ্জ ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জগন্নাথপুরে আওয়ামীলীগ নেতা সাজ্জাদ খান গ্রেফতার সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিক সমাধানের জন্য শিবিরের স্মারকলিপি সুমেক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা ও যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান শিবিরের নরসিংপুর সমাজ কল্যাণ সংস্থার ২০২৫ সেশনের কমিটি গঠন অধ্যক্ষ আলী নূরের সহধর্মিণীর মৃত্যু : বিভিন্ন মহলের শোক সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে সুজনের মানববন্ধন মধ্যনগরের বৌলাই নদীতে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার বিশ্বম্ভরপুরে গ্রাম উন্নয়ন ‘খাস কমিটি’র দুর্নীতি, প্রতিবাদে মানববন্ধন তাহিরপুর সীমান্তে পৌনে ৭ লক্ষ টাকার ভারতীয় ফুসকা জব্দ জগন্নাথপুর সাচায়ানী নন্দিরগাও গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮

দোয়ারাবাজারে জমি নিয়ে বিরোধে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট।। দু’পক্ষের ৫ জন জেলে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৪৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দোয়ারাবাজারে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হওয়ায় ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষারস্বার্থে দু’পক্ষের ৫ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকালে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের চাইরগাঁও গ্রামের মৃত সুরুজ আলী’র পুত্র জসীমউদ্দিন নোমান ও মোশারফ আলী’র পুত্র তবরিছ আলী’র মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে।
দু’পক্ষের লোকজনই একই জমির মালিকানার দাবিদার হওয়ায় আদালতে দু’পক্ষের মামলা মোকাদ্দমা চলার পরও কয়েকদিন পর পর তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বেশ কয়েকবার দু’পক্ষের সাথে বসেও বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে সম্ভব হয়নি। এতে গত ২৩ জুন জমিতে ধান রুপন করাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে জসিমউদদীন নোমান বাদী হয়ে ৩০ জুন দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এবং ১৬ জুলাই তবরিছ আলী বাদী হয়ে পাল্টা মামলা দায়ের করেন। ধানের চারা রোপণ করার দীর্ঘদিন পর ধান কাটার উপযোগী হওয়ায় গত বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বিরোধকৃত এই জমিতে জসিমউদদীন নোমান ধান কাটতে গেলে তবরিছ আলী’র লোকজন বাঁধা নিষেধ করে। বাঁধা নিষেধের একপর্যায়ে দু’পক্ষের লোকজনদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা (৯৯৯) কল দিলে দোয়ারাবাজার থানার (ওসি) জাহিদুল হক’র নির্দেশনায় ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুদ্দিন খাঁন’র নেতৃত্বে এসআই মোহন রায়,এসআই আরাফাত ইবনে সফিউল্লাহ, এসআই বাবলুর রহমান খাঁন,এএসআই হোসাইন মোহাম্মদ ফরহাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চাইরগাঁও গ্রামে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে দু’পক্ষের লোকজনকর্তৃক দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে। এমন পর্যায়ে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরার লক্ষে দু’পক্ষের নেতৃত্বদানকারী ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- চাইরগাঁও গ্রামের মৃত সুরুজ আলী’র পুত্র
জসিমউদদীন নোমান (৪৪).জামাল উদ্দিন (৩৭). মৃত হাজী আব্দুর রহিমের পুত্র
সিরাজুল ইসলাম (৬৫). মৃত হাজী নুর মিয়ার পুত্র আব্দুল কাদির (৪৫). হাজী মোশারফ আলী’র পুত্র তবরিছ আলী (৫২)।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই বিরোধকারী দু’পক্ষের লোকজনকে আটকপূর্বক জেল হাজতে প্রেরণ করায় এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে
পুলিশের এমন নজিরবিহীন ভূমিকায় প্রশংসায় ভাসছেন দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, একই জমি দু’পক্ষের মালিকানা দাবিদার। এতে কয়েকদিন পর পর তাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকার মানুষ ও তাদের এবিষয়গুলো নিয়ে মারামারি হানাহানির শষ্কায় থাকে। দু’পক্ষের মামলা মোকদ্দমা চলার পরও একেকজন একেক সময় জমিতে প্রভাব বিস্তার করতে চায়, এতে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হয়। দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ এলাকার শান্তি রক্ষার স্বার্থে দু’পক্ষের লোকজনকে জেল হাজতে প্রেরণের মাধ্যমে যে ভূমিকা রেখেছেন তা নজির হয়ে থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দোয়ারাবাজারে জমি নিয়ে বিরোধে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট।। দু’পক্ষের ৫ জন জেলে

আপডেট সময় : ০৪:৫০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

দোয়ারাবাজারে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হওয়ায় ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষারস্বার্থে দু’পক্ষের ৫ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকালে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের চাইরগাঁও গ্রামের মৃত সুরুজ আলী’র পুত্র জসীমউদ্দিন নোমান ও মোশারফ আলী’র পুত্র তবরিছ আলী’র মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে।
দু’পক্ষের লোকজনই একই জমির মালিকানার দাবিদার হওয়ায় আদালতে দু’পক্ষের মামলা মোকাদ্দমা চলার পরও কয়েকদিন পর পর তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বেশ কয়েকবার দু’পক্ষের সাথে বসেও বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে সম্ভব হয়নি। এতে গত ২৩ জুন জমিতে ধান রুপন করাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে জসিমউদদীন নোমান বাদী হয়ে ৩০ জুন দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এবং ১৬ জুলাই তবরিছ আলী বাদী হয়ে পাল্টা মামলা দায়ের করেন। ধানের চারা রোপণ করার দীর্ঘদিন পর ধান কাটার উপযোগী হওয়ায় গত বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বিরোধকৃত এই জমিতে জসিমউদদীন নোমান ধান কাটতে গেলে তবরিছ আলী’র লোকজন বাঁধা নিষেধ করে। বাঁধা নিষেধের একপর্যায়ে দু’পক্ষের লোকজনদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা (৯৯৯) কল দিলে দোয়ারাবাজার থানার (ওসি) জাহিদুল হক’র নির্দেশনায় ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুদ্দিন খাঁন’র নেতৃত্বে এসআই মোহন রায়,এসআই আরাফাত ইবনে সফিউল্লাহ, এসআই বাবলুর রহমান খাঁন,এএসআই হোসাইন মোহাম্মদ ফরহাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চাইরগাঁও গ্রামে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে দু’পক্ষের লোকজনকর্তৃক দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে। এমন পর্যায়ে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরার লক্ষে দু’পক্ষের নেতৃত্বদানকারী ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- চাইরগাঁও গ্রামের মৃত সুরুজ আলী’র পুত্র
জসিমউদদীন নোমান (৪৪).জামাল উদ্দিন (৩৭). মৃত হাজী আব্দুর রহিমের পুত্র
সিরাজুল ইসলাম (৬৫). মৃত হাজী নুর মিয়ার পুত্র আব্দুল কাদির (৪৫). হাজী মোশারফ আলী’র পুত্র তবরিছ আলী (৫২)।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই বিরোধকারী দু’পক্ষের লোকজনকে আটকপূর্বক জেল হাজতে প্রেরণ করায় এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে
পুলিশের এমন নজিরবিহীন ভূমিকায় প্রশংসায় ভাসছেন দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, একই জমি দু’পক্ষের মালিকানা দাবিদার। এতে কয়েকদিন পর পর তাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকার মানুষ ও তাদের এবিষয়গুলো নিয়ে মারামারি হানাহানির শষ্কায় থাকে। দু’পক্ষের মামলা মোকদ্দমা চলার পরও একেকজন একেক সময় জমিতে প্রভাব বিস্তার করতে চায়, এতে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হয়। দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ এলাকার শান্তি রক্ষার স্বার্থে দু’পক্ষের লোকজনকে জেল হাজতে প্রেরণের মাধ্যমে যে ভূমিকা রেখেছেন তা নজির হয়ে থাকবে।