ধর্মপাশায় আহত হওয়ার ১৪দিন পর বৃদ্ধের মৃত্যু

- আপডেট সময় : ০৩:১৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪ ৮৬ বার পড়া হয়েছে
ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের শরিশ্যাম গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দুপক্ষের সংঘর্ষে মোহাম্মদ আলী (৬৫)সহ অন্তত ১০জন আহত হন।
গত ২৮অক্টোবর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শরিশ্যাম গ্রামের সামনের সড়কে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত বৃদ্ধ মোহাম্মদ আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সোয়া ১২টার দিকে মারা যান। তাঁর বাড়ি উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের শরিশ্যাম গ্রামে।
ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের শরিশ্যাম গ্রামের সামনেন সড়কে গত ২৮অক্টোবর বেলা ১২টার দিকে শরিশ্যাম গ্রামের সবুজ মিয়ার (৪৫) ছেলে মারুফ মিয়া(১০) একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ের নাতি সীতা বেগমের (৬) উপর বাইসাইকেল তুলে দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মোহাম্মদ আলী শিশু মারুফকে গালমন্দ করেন। ঘটনাটি মারুফ মিয়া তার বাবা সবুজ মিয়াকে জানায়। ওইদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শরিশ্যাম গ্রামের সামনের সড়কে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে এ নিয়ে সবুজ মিয়ার কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজনদের মধ্য্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে লাঠি, দা, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নারী পুরুষসহ দুই পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মোহাম্মদ আলীকে ওইদিন সন্ধ্যায় পাশের নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রাত ১০টার দিকে আহত ওই বৃদ্ধকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারিরীক অবস্থা আশঙ্কাজনক সেখানকার চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ওইদিন রাত তিনটার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। সোখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ১২টা বেজে ১০মিনিটের সময় তিনি মারা যান।
ধর্মপাশা থানার এসআই সনজিত কুমার রায় বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত মোহাম্মদ আলীর ছোট ভাই আবদুল মজিদ (৫১) বাদী হয়ে সবুজ মিয়াসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৮থেকে ৯জনকে আসামি করে গত ২৯অক্টোবর থানায় একটি মামলা করেছেন। এজাহারভূক্ত আসামিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত একজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।অন্যসব আসামিরা পলাতক রয়েছেন। গুরুতর আহত বৃদ্ধ মোহাম্মদ আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২নভেম্বর সোমবার রাতে মারা গেছেন। লাশ এখনো বাড়িতে এসে পৌঁছায়নি। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।