সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আহত ১৯

- আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে
সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ১৯ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সদ্য ঘোষিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে পরিচিতি সভার আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কমিটিতে পদ বঞ্চিত ছাত্র আন্দোলনের ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ শিল্পকলা একাডেমিতে আসে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক ইমন উদ দোজা জানান-আজ আমাদের ঘোষিত কমিটির পূর্বনির্ধারিত প্রোগ্রাম ছিল। হঠাৎ করে কয়েকজন এসে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। হামলায় ইমন, সিয়াম, মুনা, জ্যোতি, সাকিব, শফিকুল, রাতুল, আশরাফ প্রমুখ আহত হন। এসময় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন ইমন।
অপরদিকে সমন্বয়ক এন ডি উসমান গণী জানান, সুনামগঞ্জে যারা আহত হয়েছে, জেলে গিয়েছে, গুলি খেয়েছে তাদেরকে বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিকে ছাত্র জনতা প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা আজকের প্রোগ্রামে সাধারণ ছাত্র হিসেবেই অংশগ্রহণ করি। উদ্যেশ্য ছিল কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের সাথে আমাদের অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলা। কিন্তু শিল্পকলা একাডেমিতে আসার পরপরই তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। হামলায় উসমান, নিহাল, সাইমন, বায়েজিদ, মঈনুল, মাহমুদুল, জুবায়ের, আকাশ, মিজান, ফাহিম, সোহান প্রমুখ আহত হয়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক জানান, বৈষম্যবিরোধী দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নিয়ে ১০ নভেম্বর ইমন উদ দোজাকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসান সাকিবকে সদস্য সচিব করে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট সুনামগঞ্জে জেলা কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সংগঠন। এর প্রতিবাদে ১২ নভেম্বর ঘোষিত কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে প্রতিবাদ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা।
তারও আগে গত ২৪ অক্টোবর চাঁদাবাজি, তদবির বাণিজ্য ও বেআইনি কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে ইমন উদ দোজাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
শহরের পুলিশ ক্যাফেতে আয়োজিত ঐ সংবাদ সম্মেলনে তারা নদীতে অবৈধ বালু বোঝাই নৌযানে চাঁদাবাজি, সরকারি বিভিন্ন দফতরে প্রভাব বিস্তার ও ছাত্রজনতার উপর হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করতে তদবিরসহ নানা অভিযোগ আনা হয় ইমনের বিরুদ্ধে।