ফুলকুঁড়ি আসরের "সুবর্ণজয়ন্তী" উৎসব উদযাপন
নৈতিক শিক্ষা না থাকলে প্রকৃত মানুষ হওয়া যায় না : পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন

- আপডেট সময় : ০২:৫১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ২৬৫ বার পড়া হয়েছে
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার আ.ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খান বলেছেন, আমরা শিক্ষা বলতে বুঝি, কোনো রকমে পুঁথিগত সিলেবাস মুখস্ত করে ভালো ফলাফল করা। অভিভাবকরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রশাসক, ব্যবসায়ী বানাতে চান। অথচ আগে ভালো মানুষ রূপে গড়ে তোলা প্রয়োজন।
তিনি বলেন নৈতিক শিক্ষা দিতে না পারার কারণে অনেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রকৃত মানুষ হতে পারেনি। মানুষের মধ্যে মানবিক ও পাশবিক স্বত্তা রয়েছে। পাশবিক সত্তাকে অবদমিত করে মানবিক শিক্ষাকে বিকশিত করাটাই হলো মূল শিক্ষা।
তিনি শনিবার বিকাল ৩টায় জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসরের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব’ উদযাপন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জ শহীদ জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফুলকুড়িঁ আসর সুনামগঞ্জের উপদেষ্টা পরিষদের সহ সভাপতি ও সুনামগঞ্জ পৌর কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শেরগুল আহমেদ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ বলেন “পৃথিবীকে গড়তে হলে সবার আগে নিজেকে গড়” এই শ্লোগানকে ধারন করে ফুলকড়িঁ আসরের পথচলায় আজ সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে শিশু কিশোরদের মেধা বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে ফুলকুড়িঁ আসর।
জেলা আসরের পরিচালক রেদুয়ান মাহমুদুল মুরাদের সভাপতিত্বে সহকারী পরিচালক তাওহিদুল আলম মোহাযের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আসরের প্রধান পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
প্রধান আলোচক অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার চেষ্টা করতে হবে। সৎ ও নৈতিক গুনাবলী বিকশিত করে পরিপূর্ণ আদর্শ মানুষ রূপে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি এড. মহসিন রেজা মানিক, জেলা ফুলকুড়িঁর সাবেক পরিচালক মোঃ সুহেল আলম, এস এম এ ফয়সল প্রমুখ ।
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জেলা ফুলকুঁড়ি আসর কর্তৃক আয়োজিত দেশের গান প্রতিযোগিতা, সুবর্ণজয়ন্তী শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, বৃক্ষরোপন, মাইন্ড ম্যারাথন, গল্প বলা প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, আন্ত আসর ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ ভিন্ন ভিন্ন ১১টি প্রতিযোগিতায় ৭৪টি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
গান, থিম সং, নাটিকা, কবিতা আবৃত্তিসহ বিভিন্ন আয়োজনে মুখরিত উৎসবের মাধ্যমে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান পালিত হয়।