সুনামগঞ্জ ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জগন্নাথপুরে আওয়ামীলীগ নেতা সাজ্জাদ খান গ্রেফতার সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিক সমাধানের জন্য শিবিরের স্মারকলিপি সুমেক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা ও যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান শিবিরের নরসিংপুর সমাজ কল্যাণ সংস্থার ২০২৫ সেশনের কমিটি গঠন অধ্যক্ষ আলী নূরের সহধর্মিণীর মৃত্যু : বিভিন্ন মহলের শোক সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে সুজনের মানববন্ধন মধ্যনগরের বৌলাই নদীতে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার বিশ্বম্ভরপুরে গ্রাম উন্নয়ন ‘খাস কমিটি’র দুর্নীতি, প্রতিবাদে মানববন্ধন তাহিরপুর সীমান্তে পৌনে ৭ লক্ষ টাকার ভারতীয় ফুসকা জব্দ জগন্নাথপুর সাচায়ানী নন্দিরগাও গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮

সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ ৬৭৫ প্রকল্পসহ ১২৪ কোটি টাকার বরাদ্ধ অনুমোদন

মহসিন রেজা মানিক, সুনামগঞ্জ:
  • আপডেট সময় : ০১:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সুনামগঞ্জে নতুন করে আরো ২৯৩ টি হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্প (পিআইসি) অনুমোদন হয়েছে। রোববার বিকালে জেলা হাওররক্ষা বাঁধ মনিটরিং ও বাস্তবায়ন কমিটির সভায় নতুন এই প্রকল্পগুলির অনুমোদন করা হয়। এর আগে ৩০শে নভেম্বর ৩৮২টি হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্প (পিআইসি) অনুমোদন করা হয়েছিল। এনিয়ে সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলার হাওরে বোরো ফসল রক্ষার জন্য ৬৭৫টি হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্প (পিআইসি) অনুমোদন করা হয়েছে। ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলার বড় হাওরগুলোর ফসল অকাল বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। এদিকে হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করতে শুরুতেই কৃষকরা নানা প্রস্তাব দিয়েছেন। জেলা হাওররক্ষা বাঁধ মনিটরিং ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরাও রোববারের সভায় নানা প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ৬৭৫ টি বাঁধের প্রি ওয়ার্ক জরিপ অনুযায়ী প্রাক্কলন তৈরি’র পর কর্ম এলাকার পরিচয় হওয়ার জন্য বাঁধের শুরু ও শেষ অংশ পৃথকভাবে সনাক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। জেলা হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্প (পিআইসি) কমিটির সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমেদ এর প্রস্তাবনা অনুযায়ী প্রত্যেক উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়কারী পিআইসি কমিটির সদস্যদের নিয়ে মতবনিমিয় করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও বাঁধ মেরামতের কাজ তদারকি ও বাস্তবায়নের জন্য হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্প (পিআইসি) জেলা কমিটির সদস্যদের প্রত্যেক উপজেলায় দ্বায়িত্ব প্রদান করে সভায় কয়েকটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
তাছাড়াও বাঁধ মেরামতের জন্য পিআইসি গঠনে কোন ধরনের রাজনৈতিক চাপ ও দুর্নীতির সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকুকনা কেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়ান মিয়া।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বললেন, বাঁধের বর্তমান চিত্র অনুযায়ী প্রি-ওয়ার্ক জরিপ করে প্রক্কলন প্রস্তত করা হয়েছে। কাজ শুরু বা শেষ করার পর অন্য কোন ডিপার্টমেন্টের টেকনিক্যাল পার্সন দিয়ে মাপযোগ করলে সমস্যার কিছু নেই। বরঞ্চ জবাবদিহিতার ক্ষেত্র আরও বাড়বে। বাঁধের কাজের এলাকা আরও স্পষ্ঠ করে পরিচয় দিতে তিনি প্রত্যেকটা প্রকল্পকে পাকা পিলার দ্বারা ডিমারগেশনের কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের মার্চ মাসের শেষ ও এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে হাওরে বাঁধ নির্মানে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে আগাম বন্যায় সুনামগঞ্জের সবকটি হাওরের ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। এর পর থেকে ঠিকাদারী প্রথা বিলুপ্ত করে ওই বছরই কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ প্রনয়ন করা হয়। ২০১৮ সাল থেকে পিআইসির মাধ্যমে কাজ শুরু হয়। কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর পিআইসি গঠন, ১৫ডিসেম্বর কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে কাজ শেষ করার নিয়ম রয়েছে।

সিন্ডিগেট থামানো যাচ্ছে না-
বাঁধ নিয়ে বিগত ১৫ বছরে গড়ে উঠা দালাল সিন্ডগেটকে কিছুতেই যেন থামানো যাচ্ছেনা। তাহিরপুরের কৃষক করিরুল মিয়া জানান, গেল বছরগুলিতে যারা পিআইসির কাজ পেয়েছিল, নাম বদলায়ে তারাই আবার কাজ পেতে যাচ্ছে। আওয়ালীগের নেতা কর্মীরা নিজেদের নাম গোপন করে কাজ পেতে গ্রামের সাধারন কৃষকদের নাম ব্যাবহার করছেন। আর ফ্যাসিবাদের দোসরদের কাজ পাইয়ে পাইয়ে দিতে প্রতি উপজেলাতেই এক শ্রেনীর দালাল সিন্ডিকেট উঠে পড়ে লেগেছে। এ কাজে বাদ যাচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরাও। বাঁধের কাজ পাইয়ে দিতে রাতের আধারে মোটা অংকের টাকা লেনদেনেরও ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়াও প্রত্যেক উপজেলা থেকে বাঁধ মেরামতের কাজে নিযুক্ত পিআইসিদের যে তালিকা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে দেখা যায় প্রভাবশালী একই ব্যক্তির আত্বীয় স্বজনের নামে একাধিক পিআইসির তালিকা রয়েছে। হাওর পাড়ের দরিদ্র কৃষকদের দিয়ে পিআইসি গঠন করে ‘কাজের বিনিময়ে টাকা’ এই কর্মসূচী পালন করার কথা থাকলেও বড় বড় ব্যাবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ইউপি চেয়ারম্যানদের নামও রয়েছে এই তালিকায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on “সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ ৬৭৫ প্রকল্পসহ ১২৪ কোটি টাকার বরাদ্ধ অনুমোদন

  1. কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) হচ্ছে প্রকল্প বা কাজ বাস্তবায়ন কমিটি, যে কমিটি সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ সম্পাদন করবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে যত টাকা ব্যয় তত টাকাই ব্যয় দেখাবে, অতিরিক্ত টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরত জমা দিবে। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় পিআইসিও ঠিকাদারীর ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ঠিকাদারী প্রথা আর পিআইসি প্রথার মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে আগে একজনের নামে কাজ হতো এখন কয়েকজনের নামে কমিটি করে কাজ সম্পন্ন হয়। যত টাকার প্রাক্কলিত ব্যয় দেখানো হয়, তত টাকাই ব্যয় দেখানো হয়। কাজের প্রাক্কলন করার সময়েই অনেক বেশী টাকা দেখানো হয়। বাস্তবে প্রাক্কলিত বাজেটের ৫০ – ৬০% বেশী ব্যয় হওয়ার কথা নয়। ক্ষেত্রবিশেষে আরো অনেক কম ব্যয় হয়।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ ৬৭৫ প্রকল্পসহ ১২৪ কোটি টাকার বরাদ্ধ অনুমোদন

আপডেট সময় : ০১:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

 

সুনামগঞ্জে নতুন করে আরো ২৯৩ টি হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্প (পিআইসি) অনুমোদন হয়েছে। রোববার বিকালে জেলা হাওররক্ষা বাঁধ মনিটরিং ও বাস্তবায়ন কমিটির সভায় নতুন এই প্রকল্পগুলির অনুমোদন করা হয়। এর আগে ৩০শে নভেম্বর ৩৮২টি হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্প (পিআইসি) অনুমোদন করা হয়েছিল। এনিয়ে সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলার হাওরে বোরো ফসল রক্ষার জন্য ৬৭৫টি হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্প (পিআইসি) অনুমোদন করা হয়েছে। ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলার বড় হাওরগুলোর ফসল অকাল বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। এদিকে হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করতে শুরুতেই কৃষকরা নানা প্রস্তাব দিয়েছেন। জেলা হাওররক্ষা বাঁধ মনিটরিং ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরাও রোববারের সভায় নানা প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ৬৭৫ টি বাঁধের প্রি ওয়ার্ক জরিপ অনুযায়ী প্রাক্কলন তৈরি’র পর কর্ম এলাকার পরিচয় হওয়ার জন্য বাঁধের শুরু ও শেষ অংশ পৃথকভাবে সনাক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। জেলা হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্প (পিআইসি) কমিটির সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমেদ এর প্রস্তাবনা অনুযায়ী প্রত্যেক উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়কারী পিআইসি কমিটির সদস্যদের নিয়ে মতবনিমিয় করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও বাঁধ মেরামতের কাজ তদারকি ও বাস্তবায়নের জন্য হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্প (পিআইসি) জেলা কমিটির সদস্যদের প্রত্যেক উপজেলায় দ্বায়িত্ব প্রদান করে সভায় কয়েকটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
তাছাড়াও বাঁধ মেরামতের জন্য পিআইসি গঠনে কোন ধরনের রাজনৈতিক চাপ ও দুর্নীতির সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকুকনা কেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়ান মিয়া।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বললেন, বাঁধের বর্তমান চিত্র অনুযায়ী প্রি-ওয়ার্ক জরিপ করে প্রক্কলন প্রস্তত করা হয়েছে। কাজ শুরু বা শেষ করার পর অন্য কোন ডিপার্টমেন্টের টেকনিক্যাল পার্সন দিয়ে মাপযোগ করলে সমস্যার কিছু নেই। বরঞ্চ জবাবদিহিতার ক্ষেত্র আরও বাড়বে। বাঁধের কাজের এলাকা আরও স্পষ্ঠ করে পরিচয় দিতে তিনি প্রত্যেকটা প্রকল্পকে পাকা পিলার দ্বারা ডিমারগেশনের কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের মার্চ মাসের শেষ ও এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে হাওরে বাঁধ নির্মানে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে আগাম বন্যায় সুনামগঞ্জের সবকটি হাওরের ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। এর পর থেকে ঠিকাদারী প্রথা বিলুপ্ত করে ওই বছরই কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ প্রনয়ন করা হয়। ২০১৮ সাল থেকে পিআইসির মাধ্যমে কাজ শুরু হয়। কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর পিআইসি গঠন, ১৫ডিসেম্বর কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে কাজ শেষ করার নিয়ম রয়েছে।

সিন্ডিগেট থামানো যাচ্ছে না-
বাঁধ নিয়ে বিগত ১৫ বছরে গড়ে উঠা দালাল সিন্ডগেটকে কিছুতেই যেন থামানো যাচ্ছেনা। তাহিরপুরের কৃষক করিরুল মিয়া জানান, গেল বছরগুলিতে যারা পিআইসির কাজ পেয়েছিল, নাম বদলায়ে তারাই আবার কাজ পেতে যাচ্ছে। আওয়ালীগের নেতা কর্মীরা নিজেদের নাম গোপন করে কাজ পেতে গ্রামের সাধারন কৃষকদের নাম ব্যাবহার করছেন। আর ফ্যাসিবাদের দোসরদের কাজ পাইয়ে পাইয়ে দিতে প্রতি উপজেলাতেই এক শ্রেনীর দালাল সিন্ডিকেট উঠে পড়ে লেগেছে। এ কাজে বাদ যাচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরাও। বাঁধের কাজ পাইয়ে দিতে রাতের আধারে মোটা অংকের টাকা লেনদেনেরও ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়াও প্রত্যেক উপজেলা থেকে বাঁধ মেরামতের কাজে নিযুক্ত পিআইসিদের যে তালিকা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে দেখা যায় প্রভাবশালী একই ব্যক্তির আত্বীয় স্বজনের নামে একাধিক পিআইসির তালিকা রয়েছে। হাওর পাড়ের দরিদ্র কৃষকদের দিয়ে পিআইসি গঠন করে ‘কাজের বিনিময়ে টাকা’ এই কর্মসূচী পালন করার কথা থাকলেও বড় বড় ব্যাবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ইউপি চেয়ারম্যানদের নামও রয়েছে এই তালিকায়।