সুনামগঞ্জ ১০:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্যোগ মোকালোয় রেড ক্রিসেন্ট‘র সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত রেনেসাঁ ইসলামিক সোসাইটির উদ্যোগে ফ্রি ব্লাডগ্রুপ নির্নয় তাহিরপুরে আগুনে পুড়ে ছাই বসতঘর, ১৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি  পুরান বারুংকা মডেল মাদরাসায় ফ্রি চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত তাহিরপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি’র হামদ নাত ক্বিরাত প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন সততা ও দক্ষতা ব্যবসার মূল পূঁজি : মোঃ শহিদুল ইসলাম ছাতকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দীক গ্রেফতার দোয়ারাবাজারের ইউএনও নেহের নিগার তনু’র প্রত্যাহারের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারের বরাবর আবেদন কাঠইর ইউনিয়নে জামায়াতের গণসংযোগ শান্তিগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন শিল্পপতি মইনুল ইসলাম

পীর হাবীব ছিলেন এক লড়াকু সৈনিক-এম এ মান্নান এমপি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৪:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২ ১৫২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক ও দেশের বরেণ্য সাংবাদিক, সুনামগঞ্জের কৃতি সন্তান প্রয়াত পীর হাবিবুর রহমানের নাগরিক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১১ মার্চ) বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুনামগঞ্জ সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সুনামগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে এই নাগরিক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখতের সভাপতিত্বে শোকসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।

শোকসভায় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, পীর হাবিব একজন লড়াকু সৈনিক। তিনি সুনামগঞ্জ জেলাকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তার সাথে পরিচয় ২০১০ সালে। তিনি আমাকে সুনামগঞ্জের লোক হিসেবে অনেক সহযোগিতা করেছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞ। আওয়ামী লীগের যোগ দেয়ার পর তিনি আমাকে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, যখনই পীর হাবিব লিখত, আমার সম্পর্কে লিখত। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত লেখা লিখেছে তার চেয়ে আমার সম্পর্কেও কম লিখে নাই। অনেক কিছুই লিখেছে। আমি যেভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম হাবিবও আমার বোন শেখ হাসিনার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিল। আমি লম্বা মানুষ বোকা। বঙ্গবন্ধু আমার চেয়ে দুই ইঞ্চি লম্বা ছিলেন তিনিও বোকা ছিলেন, তবে গরীবের অধিকার আদায়ে সব সময় সচেষ্ট ছিলেন। যদি বঙ্গবন্ধু বোকা না হতেন তা হলে ঘাতকের হাতে ১৯৭৫ সালে তাকে এভাবে জীবন দিতে হত না। তিনি মানুষকে অন্ধের মত বিশ্বাস করতেন আর সেটাই তার জন্য কাল হয়েছে। তিনি সবসময় মানুষের সাথে বোকার মত আচরণ করতেন, মানুষকে খুব বেশি ভালবাসতেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, শামীম ওসমানের বড় ভাই নাসিমের বিয়ের রাতেই আমার কাছে গিয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আন্দোলন করার জন্য কেউ তাকে স্বীকার করে না।

তিনি বলেন, আমার সবার কথা মনে থাকে। সুনামগঞ্জ-সিলেট থেকে অনেক মানুষ আমার কাছে যেত। সবার কথা আমার মনে আছে। আব্দুজ জহুর, মতিউর রহমান, সুলতান মনসুর, শাহ আজিজ এরা আমার কাছে যেত।

কিছুটা অভিমানের সুরে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধে আমার কোনও অবদান নেই। আমি মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম শুধু মা বোনের ইজ্জত রক্ষার জন্য। আমি আমার মায়ের সন্তান। আজ কাল বিয়ে করে যৌবনকালে মাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় বৃদ্ধাশ্রমে। এ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি আজ হাবিবের জন্য দোয়া করতে এসেছি। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি জীবনে যদি কোনও ভাল কাজ করে থাকি তাহলে সেই কাজের উছিলায় যেন হাবীবকে আল্লাহ জান্নাত দান করেন।’

জাসদের সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রয়াত পীর হাবিবের জন্মের সাথে বাংলাদেশের মিল আছে। উনি স্বাধীন বাংলাদেশের কলম যোদ্ধা। অনেকেই বলেন সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ থাকতে হয়, আমি এ কথা মানি না। পক্ষ থাকতে হবে সেটা বাংলাদেশের পক্ষে।

ইনু বলেন- ‘পীর হাবিব কারো সাথে কখনই আপস করেন নি। তিনি সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ছিলেন। সে দুই হাত খুলে লিখত। অনেকের হাতে কলম আছে কিন্তু সবাই লিখতে পারে না। কিন্তু পীর হাবিবের লেখনির মাধ্যমে আগুনের ফুলিঙ্গ বের হত। খুব কম লোক রয়েছে যারা সমালোচনা সহ্য করতে পারে। পীর হাবিবের সাংবাদিকতায় ভিন্নতা রয়েছে। তিনি গল্পের ঢংয়ে লিখতেন। উনি গল্পের ঢং লিখতেন বলেই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেত।’

সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজনৈতিক দলের ছায়ায় গুন্ডামি যায় না। আমার সাথে রাতে ফোনে অনেক কথা হত। তিনি বলতেন আর কত দিন দেশে জঙ্গিবাদ থাকবে অপশক্তির লোকরা আর কত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দিবে। পীর হাবিব ছিল একজন দেশপ্রেমিক সাংবাদিক। সে সব সময় চাইত বাংলাদেশে যাতে সুস্থ রাজনীতি ফিরে আসে।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘তার সাথে আমার পরিচয় হয় ২০০৯ সালে। তিনি একটি টেলিভিশনে টকশো করতেন সেখান থেকে আমার পরিচয় হয়। তবে তার লেখার সাথে অনেক পূর্বেই পরিচয় ছিল। তিনি একজন ভাল নীতিবান মানুষ। তার সুনামগঞ্জের পৈত্রিক বাড়ি দেখলেই বোঝা যায়।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, ‘পীর হাবিব সাধারণ মানুষের পক্ষে লিখেছেন। আমি চলে গেলে তেমন কিছু হবে না। কিন্তু পীর হাবিব মারা যাওয়ায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। বাংলাদেশের মানচিত্রের আকাশে শকুন ঘুরছে, তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। কিন্তু লেখকরা চলে যাচ্ছেন, কে লিখবে শেখ হাসিনার কথা। পীর ভাই যেমন লিখেছে তেমনি আমরাও যেন সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলতে পারি। পীর হাবিব শুধু সুনামগঞ্জের না সারা পৃথিবীর।’

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, রাকসুর সাবেক ভিপি রাগিব আহসান মুন্না, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ ডন, ডিবিসি’র সম্পাদক প্রণব শাহা, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ প্রমুখ।

পরিবারের পক্ষে থেকে পীর হাবিবুর রহমানের বড় ভাই অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান পীর, ছোট ভাই সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, রাইসা নাজ চন্দ্রস্মিতা কৃতজ্ঞতামূলক বক্তব্য রাখেন।

প্রয়াত পীর হাবিবুর রহমানের ছেলে আহনাফ ফাহমিন অন্তর বলেন, ‘আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনারা যে আমার বাবাকে এভাবে ভালোবাসেন তা আমিও কখনোই বুঝতে পারি নাই। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই যদি আমার বাবা যদি কোনও ভুল করে থাকেন তা হলে মাফ করে দিবেন।’

এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পীর হাবীব ছিলেন এক লড়াকু সৈনিক-এম এ মান্নান এমপি

আপডেট সময় : ০৫:২৪:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক ও দেশের বরেণ্য সাংবাদিক, সুনামগঞ্জের কৃতি সন্তান প্রয়াত পীর হাবিবুর রহমানের নাগরিক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১১ মার্চ) বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুনামগঞ্জ সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সুনামগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে এই নাগরিক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখতের সভাপতিত্বে শোকসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।

শোকসভায় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, পীর হাবিব একজন লড়াকু সৈনিক। তিনি সুনামগঞ্জ জেলাকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তার সাথে পরিচয় ২০১০ সালে। তিনি আমাকে সুনামগঞ্জের লোক হিসেবে অনেক সহযোগিতা করেছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞ। আওয়ামী লীগের যোগ দেয়ার পর তিনি আমাকে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, যখনই পীর হাবিব লিখত, আমার সম্পর্কে লিখত। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত লেখা লিখেছে তার চেয়ে আমার সম্পর্কেও কম লিখে নাই। অনেক কিছুই লিখেছে। আমি যেভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম হাবিবও আমার বোন শেখ হাসিনার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিল। আমি লম্বা মানুষ বোকা। বঙ্গবন্ধু আমার চেয়ে দুই ইঞ্চি লম্বা ছিলেন তিনিও বোকা ছিলেন, তবে গরীবের অধিকার আদায়ে সব সময় সচেষ্ট ছিলেন। যদি বঙ্গবন্ধু বোকা না হতেন তা হলে ঘাতকের হাতে ১৯৭৫ সালে তাকে এভাবে জীবন দিতে হত না। তিনি মানুষকে অন্ধের মত বিশ্বাস করতেন আর সেটাই তার জন্য কাল হয়েছে। তিনি সবসময় মানুষের সাথে বোকার মত আচরণ করতেন, মানুষকে খুব বেশি ভালবাসতেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, শামীম ওসমানের বড় ভাই নাসিমের বিয়ের রাতেই আমার কাছে গিয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আন্দোলন করার জন্য কেউ তাকে স্বীকার করে না।

তিনি বলেন, আমার সবার কথা মনে থাকে। সুনামগঞ্জ-সিলেট থেকে অনেক মানুষ আমার কাছে যেত। সবার কথা আমার মনে আছে। আব্দুজ জহুর, মতিউর রহমান, সুলতান মনসুর, শাহ আজিজ এরা আমার কাছে যেত।

কিছুটা অভিমানের সুরে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধে আমার কোনও অবদান নেই। আমি মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম শুধু মা বোনের ইজ্জত রক্ষার জন্য। আমি আমার মায়ের সন্তান। আজ কাল বিয়ে করে যৌবনকালে মাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় বৃদ্ধাশ্রমে। এ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি আজ হাবিবের জন্য দোয়া করতে এসেছি। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি জীবনে যদি কোনও ভাল কাজ করে থাকি তাহলে সেই কাজের উছিলায় যেন হাবীবকে আল্লাহ জান্নাত দান করেন।’

জাসদের সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রয়াত পীর হাবিবের জন্মের সাথে বাংলাদেশের মিল আছে। উনি স্বাধীন বাংলাদেশের কলম যোদ্ধা। অনেকেই বলেন সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ থাকতে হয়, আমি এ কথা মানি না। পক্ষ থাকতে হবে সেটা বাংলাদেশের পক্ষে।

ইনু বলেন- ‘পীর হাবিব কারো সাথে কখনই আপস করেন নি। তিনি সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ছিলেন। সে দুই হাত খুলে লিখত। অনেকের হাতে কলম আছে কিন্তু সবাই লিখতে পারে না। কিন্তু পীর হাবিবের লেখনির মাধ্যমে আগুনের ফুলিঙ্গ বের হত। খুব কম লোক রয়েছে যারা সমালোচনা সহ্য করতে পারে। পীর হাবিবের সাংবাদিকতায় ভিন্নতা রয়েছে। তিনি গল্পের ঢংয়ে লিখতেন। উনি গল্পের ঢং লিখতেন বলেই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেত।’

সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজনৈতিক দলের ছায়ায় গুন্ডামি যায় না। আমার সাথে রাতে ফোনে অনেক কথা হত। তিনি বলতেন আর কত দিন দেশে জঙ্গিবাদ থাকবে অপশক্তির লোকরা আর কত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দিবে। পীর হাবিব ছিল একজন দেশপ্রেমিক সাংবাদিক। সে সব সময় চাইত বাংলাদেশে যাতে সুস্থ রাজনীতি ফিরে আসে।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘তার সাথে আমার পরিচয় হয় ২০০৯ সালে। তিনি একটি টেলিভিশনে টকশো করতেন সেখান থেকে আমার পরিচয় হয়। তবে তার লেখার সাথে অনেক পূর্বেই পরিচয় ছিল। তিনি একজন ভাল নীতিবান মানুষ। তার সুনামগঞ্জের পৈত্রিক বাড়ি দেখলেই বোঝা যায়।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, ‘পীর হাবিব সাধারণ মানুষের পক্ষে লিখেছেন। আমি চলে গেলে তেমন কিছু হবে না। কিন্তু পীর হাবিব মারা যাওয়ায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। বাংলাদেশের মানচিত্রের আকাশে শকুন ঘুরছে, তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। কিন্তু লেখকরা চলে যাচ্ছেন, কে লিখবে শেখ হাসিনার কথা। পীর ভাই যেমন লিখেছে তেমনি আমরাও যেন সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলতে পারি। পীর হাবিব শুধু সুনামগঞ্জের না সারা পৃথিবীর।’

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, রাকসুর সাবেক ভিপি রাগিব আহসান মুন্না, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ ডন, ডিবিসি’র সম্পাদক প্রণব শাহা, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ প্রমুখ।

পরিবারের পক্ষে থেকে পীর হাবিবুর রহমানের বড় ভাই অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান পীর, ছোট ভাই সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, রাইসা নাজ চন্দ্রস্মিতা কৃতজ্ঞতামূলক বক্তব্য রাখেন।

প্রয়াত পীর হাবিবুর রহমানের ছেলে আহনাফ ফাহমিন অন্তর বলেন, ‘আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনারা যে আমার বাবাকে এভাবে ভালোবাসেন তা আমিও কখনোই বুঝতে পারি নাই। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই যদি আমার বাবা যদি কোনও ভুল করে থাকেন তা হলে মাফ করে দিবেন।’

এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।