ছাতকে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

- আপডেট সময় : ১০:১৯:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৪২৫ বার পড়া হয়েছে
ছাতকে সদ্য তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভূক্তভোগী নারী।
গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টায় রোকেয়া ম্যানশনস্থ ছাতক প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাতক পৌরসভার নোয়ারাই-ইসলামপুর এলাকার মৃত শাহজাহানের কন্যা শাহানা জাহান পলি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ২০০৬ সালের ৫ অক্টোবর ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ছাতক পৌরসভার বাগবাড়ী এলাকার মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা দেলোয়ার মাহমুদ জুয়েল সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।
আমাদের ফাহমিদ বক্স(১৬), তাহমিদ(১৩) ও ফাইরুজ বক্স সহ ৩জন সন্তান রয়েছে। প্রথম সন্তান জন্মের পর থেকেই স্বামীর ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য বিভিন্ন রকম কথা বলে আমার পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে একাধিকবার টাকা-পয়সা আনে।
৭/৮ বছর সংসার ভালো কাটলেও পাওনা টাকা চাইতেই আমার উপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করে। আমার পরিবারের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করেও সন্তানদের দিকে তাকিয়ে সংসার করেছি। এক সময় সে পরকীয়া সহ মদক সেবনে আসক্ত হয়ে পরে। গত কয়েকমাস পূর্বে আবারো পিত্রালয় থেকে তিন লক্ষ টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
এতে অপারগতা প্রকাশ করায় গত২০২৪ সেলের ২৬ নভেম্বর তারিখে শারিরীকভাবে আমাকে নির্যাতন করে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে আমার ৩সন্তানকে তাদের পিতার কাছে রেখে আমি আমার পিত্রালয়ে আশ্রয় নেই।
বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যার্থ হওয়ার আমার স্বামীকে তালাক প্রদান করি এবং তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করি।
এ মামলায় সে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারা ভোগ শেষে জামিনে বের হয়ে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানানভাবে আমি ও আমার আত্মীয়-স্বজনদের হুমকি প্রদান করে।
গত ২৭ জানুয়ারি সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ওসির মাধ্যমে জানতে পারি যে আমার ছোট ছেলে স্কুল ছাত্র তাহসিন বক্স অপহরণ হয়েছে এবং আমি ও আমার অসুস্থ চাচা জাওয়াবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুর ইসলাম সহ আত্মীয়-স্বজনদের নামে অভিযোগ করে দেলোয়ার মাহমুদ জুয়েল।
এমন খবর পেয়ে আমি এয়ার্পোট থানার ওসির সাথে দেখা করে বিস্তারিত তুলে ধরি। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমি ও আমার আত্মীয়-স্বজনদের ফাসানোর জন্য ছেলেকে তার পিতা লুকিয়ে রেখে উদ্ধারের নামে মিথ্যা অপহরণ মামলা রেকর্ড করতে মরিয়া হয়ে উঠে।
এর মধ্যে মীম সালমান নামের সমন্বয়ক দাবীদার আমার ছেলে তাহসিন বক্সকে ভাগ্না বাদী করে সামাযোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছে। অথচ তাকে আমি দেখিনি, চিনিও না, আমি নিশ্চিত ছেলেকে আমার তালাকপ্রাপ্ত স্বামী প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ও তার উপর দায়ের করা মামলা তুনে আনতে সে নিজেই ছেলেকে অজ্ঞাত স্থানে জোরপুর্বক আটাকে রেখে মিথ্যা অপহরণ মামলা চালানোর পায়তারা চালাচ্ছে।
স্কুল শিক্ষক পরিচয় দিয়ে গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে আমার এক চাচার মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে আমাকে ও আমার চাচাকে সন্ত্রাসী বাহীনি দিয়ে আমাদের তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এতে আমি ও আমার পরিবার আত্মীয় স্বজনরা চরম নিরাপদহীনতায় ভোগছি।
সন্তানদের ফেরত পেতে গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারিত) সুনামগঞ্জ আদালতে আশ্রয় গ্রহণ করেছি। আদালত সমন জারী করে ১০দিনের মধ্যে ৩ সন্তানদের নিয়ে হাজির করার জন্য তালাকপ্রাপ্ত স্বামীকে নির্দেশ প্রদান করেন।
আমার তালাকপ্রাপ্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সন্তানের সন্ধান পাওয়া যাবে। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই এবং বাকী ২ সন্তান ফাহমিদ বক্স ও ফাইরুজ বক্সও তার কাছে নিরাপদ নয়। আমার তালাকপ্রাপ্ত স্বামীকে ভালো করে চিনি।
সে একজন মুখোশধারী শয়তান। তার আচরণের শয়তানও লজ্জা পাবে। আমার উপর প্রতিশোধ নিতে আমার ছেলে তাহসিন বক্সকে হত্যার মতো জগণ্য কাজও করতে পারে। আমার ছেলেকে উদ্ধার করার পর জিজ্ঞাসাবাদ করলেই যুবলীগ নেতা দেলোয়ার মাহমুদ জুয়েল বক্সের সকল কু-কর্ম বেরিয়ে আসবে।