সুনামগঞ্জ ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাতকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দীক গ্রেফতার দোয়ারাবাজারের ইউএনও নেহের নিগার তনু’র প্রত্যাহারের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারের বরাবর আবেদন কাঠইর ইউনিয়নে জামায়াতের গণসংযোগ শান্তিগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন শিল্পপতি মইনুল ইসলাম বোরো ধান সংগ্রহে মিলার ও খাদ‍্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা সুনামগঞ্জে বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র বৃদ্ধির দাবি বিএনপির সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ তাহিরপুরে ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল চালকের ঝড়ে উড়ে গেল ভূমিহীন পরিবারের ঘর, নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই ট্রাইবেকারে জিতে থ্রি ব্রাদার্স স্পোর্টিং ক্লাব ফাইনালে

তাহিরপুরে নৌকা ঘাটের ইজারা, অনিয়মে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, মানা হচ্ছেনা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা

বিশেষ প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৬:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৩০৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তাহিরপুর উপজেলায় খেয়াঘাট ইজারা দেয়া নিয়ে ধুম্রজাল সূষ্টি হয়েছে। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দরপত্র গ্রহন করলেও দরপত্রে অংশগ্রহকারীরাই পাল্টাপাল্টি আভিযোগে কর্তৃপক্ষের প্রতি অনিয়মের ইঙ্গিত তুলেছেন।

গত ১২ই জানুয়ারী সুনামগেঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন নৌকাঘাট ইজারা সংক্রান্ত দরপত্র আহ্বান করে বৃহষ্পতিবার (৬ই ফেব্রুয়ারী) নৌকাঘাট সমূহের দরপত্র জমা এবং খোলার তারিখ ছিল।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক অফিসে একটি দরপত্র জমা হওয়ায় শিডিউল অনুযায়ী দুপুর ৩টার পরিবর্তে বিকাল ৫ টায় টেন্ডার বাক্স খোলা হয়। ফাজিলপুর নৌকা ঘাটের বিপরীতে ৪টি শিডিউল জমা পরে।

দরপত্রের খাম খোলে ৪টি দরপত্রের মধ্যে মোঃজবা মিয়ার দরপত্রটিকে সর্বোচ্চ ডাককারী হিসাবে ঘোষনা করা হয়। তবে জবা মিয়ার দরপত্রে টেম্পারিং করে মূল্য বাড়ানোর অভিযোগ করেছেন আরেক দরপত্র দাতা সাগর মিয়া।

এই মর্মে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। সাগর মিয়া জানান জবা মিয়ার দরপত্রে ৩কোটি ৯৫ হাজার টাকা দরপত্র মূল্য লেখা ছিল। সেখানে টেম্পরিং করে ৩কোটি ৯৫ লাখ টাকা দরপত্র মূল্য বানিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা ঘোষনা করা হয়েছে।

টেম্পারিংয়ের বিষটি অস্বীকার করে জবা মিয়া জানান আমি সঠিক পন্থায় সর্বোচ্চ দরদাতা নিবাচিত হয়েছি, তবে এখনও খেয়াঘাটের দখলনামা পাইনি।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা মো: আবুল হাসেম বলেন দরপত্রে অংকে ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা লিখা ছিল কিন্তু সংখ্যায় লেখার সময় ভুলবশত ৩কোটি ৯৫ হাজার টাকা লিখা হয়েছে। এটা কোন ত্রুটি নয়।

এদিকে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোট বিভাগে দায়েরকৃত রীট পিটিশন নং ১৯৫১/২০২৫ এর আদেশ মোতাবেক ফাজিলপুর নৌকা ঘাটের ইজারা কাযক্রম বন্ধ রাখার জন্য উচ্চ আদালতের আরেকটি নির্দেশনা রয়েছে।

রিটকারী সুনামগঞ্জ জেলা নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফাজিলপুর নৌকা ঘাটে কখনও মালামাল উঠানামা হয়না। নৌকাঘাটটি ইজারা না দেয়ার জন্য বহুবার প্রশাসনের কাছে আমরা আবেদন নিবেদন করে ব্যার্থ হই। শেষে উচ্চ আদালতে রিট নং ১৯৫১/২৫ দায়ের করি। শুনানী শেষে উচ্চ আদালত ৬ মাসের স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। আদেশের এডভোকেট সার্টিফিকেট ৬ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে দাখিল করে রিসিভ সংগ্রহ করি। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে ফাজিলপুর নৌকাঘাটের শিডিউল গ্রহন ও ওপেন করা হয় বলে দাবী করেন জাহাঙ্গীর আলম।

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো: আবুল হাসেম বলেন ফাজিলপুর নৌকা ঘাট ইজারা কাযক্রম বন্ধে ৬মাসের নিষেধাজ্ঞার একটি এডভোকেট সার্টিফিকেট পেয়েছি। আপাতত কাযক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ দরদাতা নির্ধারন করে রাখা হয়েছে। হাইকোর্টের রিট ব্রাকেট হলে ঘাটের দখলনামা সমজিয়ে দেয়া হবে বলে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় জানান তিনি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

তাহিরপুরে নৌকা ঘাটের ইজারা, অনিয়মে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, মানা হচ্ছেনা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ০৮:৪৬:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তাহিরপুর উপজেলায় খেয়াঘাট ইজারা দেয়া নিয়ে ধুম্রজাল সূষ্টি হয়েছে। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দরপত্র গ্রহন করলেও দরপত্রে অংশগ্রহকারীরাই পাল্টাপাল্টি আভিযোগে কর্তৃপক্ষের প্রতি অনিয়মের ইঙ্গিত তুলেছেন।

গত ১২ই জানুয়ারী সুনামগেঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন নৌকাঘাট ইজারা সংক্রান্ত দরপত্র আহ্বান করে বৃহষ্পতিবার (৬ই ফেব্রুয়ারী) নৌকাঘাট সমূহের দরপত্র জমা এবং খোলার তারিখ ছিল।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক অফিসে একটি দরপত্র জমা হওয়ায় শিডিউল অনুযায়ী দুপুর ৩টার পরিবর্তে বিকাল ৫ টায় টেন্ডার বাক্স খোলা হয়। ফাজিলপুর নৌকা ঘাটের বিপরীতে ৪টি শিডিউল জমা পরে।

দরপত্রের খাম খোলে ৪টি দরপত্রের মধ্যে মোঃজবা মিয়ার দরপত্রটিকে সর্বোচ্চ ডাককারী হিসাবে ঘোষনা করা হয়। তবে জবা মিয়ার দরপত্রে টেম্পারিং করে মূল্য বাড়ানোর অভিযোগ করেছেন আরেক দরপত্র দাতা সাগর মিয়া।

এই মর্মে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। সাগর মিয়া জানান জবা মিয়ার দরপত্রে ৩কোটি ৯৫ হাজার টাকা দরপত্র মূল্য লেখা ছিল। সেখানে টেম্পরিং করে ৩কোটি ৯৫ লাখ টাকা দরপত্র মূল্য বানিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা ঘোষনা করা হয়েছে।

টেম্পারিংয়ের বিষটি অস্বীকার করে জবা মিয়া জানান আমি সঠিক পন্থায় সর্বোচ্চ দরদাতা নিবাচিত হয়েছি, তবে এখনও খেয়াঘাটের দখলনামা পাইনি।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা মো: আবুল হাসেম বলেন দরপত্রে অংকে ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা লিখা ছিল কিন্তু সংখ্যায় লেখার সময় ভুলবশত ৩কোটি ৯৫ হাজার টাকা লিখা হয়েছে। এটা কোন ত্রুটি নয়।

এদিকে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোট বিভাগে দায়েরকৃত রীট পিটিশন নং ১৯৫১/২০২৫ এর আদেশ মোতাবেক ফাজিলপুর নৌকা ঘাটের ইজারা কাযক্রম বন্ধ রাখার জন্য উচ্চ আদালতের আরেকটি নির্দেশনা রয়েছে।

রিটকারী সুনামগঞ্জ জেলা নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফাজিলপুর নৌকা ঘাটে কখনও মালামাল উঠানামা হয়না। নৌকাঘাটটি ইজারা না দেয়ার জন্য বহুবার প্রশাসনের কাছে আমরা আবেদন নিবেদন করে ব্যার্থ হই। শেষে উচ্চ আদালতে রিট নং ১৯৫১/২৫ দায়ের করি। শুনানী শেষে উচ্চ আদালত ৬ মাসের স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। আদেশের এডভোকেট সার্টিফিকেট ৬ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে দাখিল করে রিসিভ সংগ্রহ করি। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে ফাজিলপুর নৌকাঘাটের শিডিউল গ্রহন ও ওপেন করা হয় বলে দাবী করেন জাহাঙ্গীর আলম।

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো: আবুল হাসেম বলেন ফাজিলপুর নৌকা ঘাট ইজারা কাযক্রম বন্ধে ৬মাসের নিষেধাজ্ঞার একটি এডভোকেট সার্টিফিকেট পেয়েছি। আপাতত কাযক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ দরদাতা নির্ধারন করে রাখা হয়েছে। হাইকোর্টের রিট ব্রাকেট হলে ঘাটের দখলনামা সমজিয়ে দেয়া হবে বলে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় জানান তিনি।