সুনামগঞ্জ ১০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জগন্নাথপুরে আওয়ামীলীগ নেতা সাজ্জাদ খান গ্রেফতার সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিক সমাধানের জন্য শিবিরের স্মারকলিপি সুমেক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা ও যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান শিবিরের নরসিংপুর সমাজ কল্যাণ সংস্থার ২০২৫ সেশনের কমিটি গঠন অধ্যক্ষ আলী নূরের সহধর্মিণীর মৃত্যু : বিভিন্ন মহলের শোক সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে সুজনের মানববন্ধন মধ্যনগরের বৌলাই নদীতে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার বিশ্বম্ভরপুরে গ্রাম উন্নয়ন ‘খাস কমিটি’র দুর্নীতি, প্রতিবাদে মানববন্ধন তাহিরপুর সীমান্তে পৌনে ৭ লক্ষ টাকার ভারতীয় ফুসকা জব্দ জগন্নাথপুর সাচায়ানী নন্দিরগাও গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮

পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:১৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১০২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পুলিশ সুপার আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খান পিপিএমকে (বিপি—৭০০৫১১৩৯৮৪) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে রাজধানীর পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স থেকে ডিআইজি (প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত পত্রে পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানিয়ে বলা হয়েছে, জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নিকট দায়িত্বভার অর্পণ করে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে) পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সে তাকে রিপোর্ট করতে হবে।

পুলিশ সুপার আফম আনোয়ার হোসেন খান গেল আট সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের এসপি হিসাবে যোগদান করেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম—দুর্নীতির অভিযাগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

তার বিরুদ্ধে প্রথম প্রকাশ্যে অভিযোগ ওঠে গেল ২৮ অক্টোবর। শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে সুনামগঞ্জে ‘বালু—পাথর মহাল নিয়ে জনতার ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে। ওখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা এসপি’র সামনে তাঁর মদদে ধোপাজান বালু—পাথর মহাল লুট হবার অভিযোগ করেন। তার অপসারণও দাবি করেন।

পুলিশ সুপার ওই মহালের বালুখেকোদের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করেন বলেও এই অনুষ্ঠানে অভিযোগ জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুনামগঞ্জ ও সিলেটের নেতারা।

এই অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও আইনজীবী নেতারা তাকে ইঙ্গিত করে বলেন, আইন—শৃঙ্খলা বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় ধোপাজান বালু মহাল থেকে গেল পাঁচ আগস্টের পর অক্টোবরের ওই তারিখ পর্যন্ত কমপক্ষে দেড়শ’ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট হয়েছে। যেটি জেলা প্রশাসন রক্ষা করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছে বলেও সাংবাদিক ও আইনজীবী নেতারা বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে জেলার বিভিন্ন থানায় ওসি পদায়ন, থানা—ফাঁড়িতে এসআই, এএসআই বদলিতে বিশেষ ক্যাশিয়ার দিয়েছিলেন বলে এই সময়ে অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরাই এসপির নামে অবৈধ টাকা তুলে আনতেন।

পাঁচ আগস্টের পর বিভিন্ন এলাকায় চাপে থাকা আওয়ামী লীগ সমর্থক ব্যবসায়ীদের হাসনগরের বাসভবনে ডেকে নিয়ে বড় অংকের টাকা নেবারও অভিযোগ আছে তার উপর।

চোরাচালান, অবৈধভাবে বালু মহাল, জলমহাল দখল, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন, পুলিশের বদলি ‘বাণিজ্য’সহ ঘুষের লেনদেন রয়েছে—এমন সব অপরাধের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন এমন অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।

সরকারের একটি বিশেষ সংস্থার গোপন প্রতিবেদনেও তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ওঠে এসছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন প্রত্যাহার

আপডেট সময় : ০২:১৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

পুলিশ সুপার আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খান পিপিএমকে (বিপি—৭০০৫১১৩৯৮৪) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে রাজধানীর পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স থেকে ডিআইজি (প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত পত্রে পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানিয়ে বলা হয়েছে, জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নিকট দায়িত্বভার অর্পণ করে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে) পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সে তাকে রিপোর্ট করতে হবে।

পুলিশ সুপার আফম আনোয়ার হোসেন খান গেল আট সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের এসপি হিসাবে যোগদান করেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম—দুর্নীতির অভিযাগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

তার বিরুদ্ধে প্রথম প্রকাশ্যে অভিযোগ ওঠে গেল ২৮ অক্টোবর। শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে সুনামগঞ্জে ‘বালু—পাথর মহাল নিয়ে জনতার ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে। ওখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা এসপি’র সামনে তাঁর মদদে ধোপাজান বালু—পাথর মহাল লুট হবার অভিযোগ করেন। তার অপসারণও দাবি করেন।

পুলিশ সুপার ওই মহালের বালুখেকোদের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করেন বলেও এই অনুষ্ঠানে অভিযোগ জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুনামগঞ্জ ও সিলেটের নেতারা।

এই অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও আইনজীবী নেতারা তাকে ইঙ্গিত করে বলেন, আইন—শৃঙ্খলা বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় ধোপাজান বালু মহাল থেকে গেল পাঁচ আগস্টের পর অক্টোবরের ওই তারিখ পর্যন্ত কমপক্ষে দেড়শ’ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট হয়েছে। যেটি জেলা প্রশাসন রক্ষা করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছে বলেও সাংবাদিক ও আইনজীবী নেতারা বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে জেলার বিভিন্ন থানায় ওসি পদায়ন, থানা—ফাঁড়িতে এসআই, এএসআই বদলিতে বিশেষ ক্যাশিয়ার দিয়েছিলেন বলে এই সময়ে অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরাই এসপির নামে অবৈধ টাকা তুলে আনতেন।

পাঁচ আগস্টের পর বিভিন্ন এলাকায় চাপে থাকা আওয়ামী লীগ সমর্থক ব্যবসায়ীদের হাসনগরের বাসভবনে ডেকে নিয়ে বড় অংকের টাকা নেবারও অভিযোগ আছে তার উপর।

চোরাচালান, অবৈধভাবে বালু মহাল, জলমহাল দখল, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন, পুলিশের বদলি ‘বাণিজ্য’সহ ঘুষের লেনদেন রয়েছে—এমন সব অপরাধের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন এমন অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।

সরকারের একটি বিশেষ সংস্থার গোপন প্রতিবেদনেও তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ওঠে এসছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।