সুনামগঞ্জ ০২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাতকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দীক গ্রেফতার দোয়ারাবাজারের ইউএনও নেহের নিগার তনু’র প্রত্যাহারের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারের বরাবর আবেদন কাঠইর ইউনিয়নে জামায়াতের গণসংযোগ শান্তিগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন শিল্পপতি মইনুল ইসলাম বোরো ধান সংগ্রহে মিলার ও খাদ‍্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা সুনামগঞ্জে বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র বৃদ্ধির দাবি বিএনপির সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ তাহিরপুরে ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল চালকের ঝড়ে উড়ে গেল ভূমিহীন পরিবারের ঘর, নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই ট্রাইবেকারে জিতে থ্রি ব্রাদার্স স্পোর্টিং ক্লাব ফাইনালে

দোয়ারাবাজারে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্কুল ফাঁকির অভিযোগের তদন্ত

সোহেল মিয়া, দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৫২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২০৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্কুল ফাঁকির অভিযোগে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের বাদে গোরেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাজী সাজেদা আক্তারে বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগ সরেজমিন তদন্ত করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দিন মোহাম্মদ বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে সরেজমিনে এসব অভিযোগের তদন্ত করেন৷

এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল ফাঁকির অভিযোগ এনে শতাধিক অভিভাবক ও এলাকাবাসী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর গণস্বাক্ষরে একটি লিখিত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নানা অজুহাতে মাসের অর্ধেকের বেশি সময় বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন প্রধান শিক্ষিক কাজী সাজেদা আক্তার। এছাড়া বিদ্যালয়ের পড়াশোনার ব্যাপারে কোন খবরাখবর রাখেন না তিনি। দিন দিন কমছে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ফলে শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ।

এতে আরও বলা হয়, বিদ্যালয়ের পাঠদান সকাল ৯ টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় ১০ টা পরে। আর যেদিন প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে আসেন তিনিও আসেন ১১টা থেকে ১২ টায়। আসলেও ২ টার পর চলে যান।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নিয়মিত শ্রেণি কক্ষে পাঠদান না করার কারণে পড়ালেখা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে  অভিভাবক ও স্থানীয়দের সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেন না প্রধান শিক্ষিকা।

অভিভাবক হাজী আব্দুন নুর অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষকের অসদাচরণে তারা অতিষ্ঠ এবং তিনি ইচ্ছেমাফিক স্কুল করেন। সরকার নির্ধারিত সময়ের পরিবর্তে কখনো সকাল ১১ কিংবা দুপুর ১২ টায় স্কুলে আসেন, আবার ২ টা না পেরুতেই স্কুল ত্যাগ করে চলে যান। এমন শিক্ষক আমরা চাই না। অতিদ্রুত বদলি করার দাবি করছি।

সাবেক ইউপি সদস্য নুর উদ্দিন বলেন, প্রায় ৩৩ বছর থেকে একি পরিবারের ৩ জন এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা যোগদানের শুরু থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন। নিয়মিত স্কুলে আসেন না। তাকে বদলি করা প্রয়োজন। না এলাকার মানুষ শিক্ষার আলো দেখতে পাবেনা।

দোয়ারাবাজার উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দিন মোহাম্মদ বলেন, এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষিকাকে নিয়ে একটি অভিযোগ করেছেন। তার পেক্ষিতে সরেজমিনে এসে তাদের কথা শুনি। তারা দাবি করেন, এই প্রধান শিক্ষিকাকে বদলি করতে হবে। দাবির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন পাঠাবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইল্লাছ উদ্দিন, বুরহান উদ্দিন, মিজাম উদ্দিন ,শাকিল মিয়া, আল আমিন, জসিম উদ্দিন, প্রমুখ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাদে গোরেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাজী সাজেদা আক্তার বলেন, আমি যোগদানের সময় থেকেই সুন্দর করে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছি। এমন অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে অহেতুক তোলা হয়েছে। তার পরেও আমার ভুল হয়ে থাকলে উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমার কোনো ভুল থাকলে সেটা সংশোধন করার চেষ্টা করব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দোয়ারাবাজারে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্কুল ফাঁকির অভিযোগের তদন্ত

আপডেট সময় : ০৩:৫২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্কুল ফাঁকির অভিযোগে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের বাদে গোরেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাজী সাজেদা আক্তারে বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগ সরেজমিন তদন্ত করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দিন মোহাম্মদ বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে সরেজমিনে এসব অভিযোগের তদন্ত করেন৷

এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল ফাঁকির অভিযোগ এনে শতাধিক অভিভাবক ও এলাকাবাসী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর গণস্বাক্ষরে একটি লিখিত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নানা অজুহাতে মাসের অর্ধেকের বেশি সময় বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন প্রধান শিক্ষিক কাজী সাজেদা আক্তার। এছাড়া বিদ্যালয়ের পড়াশোনার ব্যাপারে কোন খবরাখবর রাখেন না তিনি। দিন দিন কমছে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ফলে শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ।

এতে আরও বলা হয়, বিদ্যালয়ের পাঠদান সকাল ৯ টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় ১০ টা পরে। আর যেদিন প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে আসেন তিনিও আসেন ১১টা থেকে ১২ টায়। আসলেও ২ টার পর চলে যান।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নিয়মিত শ্রেণি কক্ষে পাঠদান না করার কারণে পড়ালেখা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে  অভিভাবক ও স্থানীয়দের সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেন না প্রধান শিক্ষিকা।

অভিভাবক হাজী আব্দুন নুর অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষকের অসদাচরণে তারা অতিষ্ঠ এবং তিনি ইচ্ছেমাফিক স্কুল করেন। সরকার নির্ধারিত সময়ের পরিবর্তে কখনো সকাল ১১ কিংবা দুপুর ১২ টায় স্কুলে আসেন, আবার ২ টা না পেরুতেই স্কুল ত্যাগ করে চলে যান। এমন শিক্ষক আমরা চাই না। অতিদ্রুত বদলি করার দাবি করছি।

সাবেক ইউপি সদস্য নুর উদ্দিন বলেন, প্রায় ৩৩ বছর থেকে একি পরিবারের ৩ জন এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা যোগদানের শুরু থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন। নিয়মিত স্কুলে আসেন না। তাকে বদলি করা প্রয়োজন। না এলাকার মানুষ শিক্ষার আলো দেখতে পাবেনা।

দোয়ারাবাজার উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দিন মোহাম্মদ বলেন, এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষিকাকে নিয়ে একটি অভিযোগ করেছেন। তার পেক্ষিতে সরেজমিনে এসে তাদের কথা শুনি। তারা দাবি করেন, এই প্রধান শিক্ষিকাকে বদলি করতে হবে। দাবির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন পাঠাবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইল্লাছ উদ্দিন, বুরহান উদ্দিন, মিজাম উদ্দিন ,শাকিল মিয়া, আল আমিন, জসিম উদ্দিন, প্রমুখ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাদে গোরেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাজী সাজেদা আক্তার বলেন, আমি যোগদানের সময় থেকেই সুন্দর করে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছি। এমন অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে অহেতুক তোলা হয়েছে। তার পরেও আমার ভুল হয়ে থাকলে উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমার কোনো ভুল থাকলে সেটা সংশোধন করার চেষ্টা করব।