সুনামগঞ্জে বিচারক-পুলিশ মুখোমুখি আইনজীবীদের প্রতিবাদ
- আপডেট সময় : ০৪:৪৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
- / 226
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
সুনামগঞ্জ আদালতে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে এক পুলিশ সদস্যকে কাঠগড়ায় আটক রাখার আদেশ দিয়ে বিচারক নিজেই কিছু সময়ের জন্য আটক হয়ে গিয়েছিলেন। আটক পুলিশ সদস্য পিন্টুকে ছাড়িয়ে নিতে কোর্টে দ্বায়িত্বরত অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা এজলাস কক্ষ ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় বিচারকের নাম ধরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতেও শুনা যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এজলাস কক্ষের সকল দরজা বন্ধ করে চলে বিচার কার্যক্রম। এর প্রতিবাদ করলে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের সাথেও বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন পুলিশ সদস্যগণ।
সোমবার দুপুর ২ ঘটিকার সময় সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে এঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী ও বেঞ্চসহকারীদের নিকট থেকে জানা যায়, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে তখন স্বাক্ষী চলছিল। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জিআর ৬৭/১৯ইং (সদর) মোকদ্দমার জব্দকৃত আলামত উপস্থাপন করার জন্য কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য পিন্টুকে নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় পুলিশ সদস্য পিন্টু কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেন। পরে মালখানা থেকে আলামত নিয়ে এসে এজলাস কক্ষে বিচারকের সামনে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ শুরু করেন।
এঘটনায় মাননীয় আদালত উক্ত পুলিশ সদস্যকে কাঠগড়ায় আটক রাখার আদেশ দিলে আদালত পাড়ায় আবস্থানরত সকল পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী থানা ও শহর থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা কনষ্টেবল এসে জড়ো হয়।
এসময় উপস্থিত আইনজীবী ও সাংবাদিকগন তাদেরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে ও ঘটনার ছবি তুলতে চাইলে আইনজীবী সাংবাদিক চ্যানেল ২৪ এর প্রতিনিধি এআর জুয়েল, যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি আমিনুল ইসলামের ক্যামেরা মোবাইল ফোন জোর পুর্বক ছিনিয়ে নেয়া হয়। একপর্যায়ে আইনজীবী ও সাংবাদিকগনও পুলিশের আক্রোশের সম্মুখীন হন।
এঘটনার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জ আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়। আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট রবিউল লেইছ রোকেশ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রুহুল তুহিনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট হুমায়ূন মঞ্জুর চৌধুরী, এডভোকেট চান মিয়া, এডভোকেট মাসুক আলম, এডভোকেট শেরেনুর আলী, এডভোকেট আক্তারুজ্জামান সেলিম, এডভোকেট তৈয়বুর রহমান বাবুল, এডভোকেট হানিফ সোলেমান প্রমুখ।
পরে সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদসহ একদল উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা আইনজীবী সমিতিতে এসে পুলিশ সদস্য লুৎফুর রহমান, আব্দুর রহমানসহ দায়ী অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।











