ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জগন্নাথপুর উপজেলা উন্নয়ন সংস্থা ইউকে’র উদ্যোগে সেলাই মেশিন বিতরণ উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠন -সভাপতি তারা মিয়া, সম্পাদক ফজলুল হক ধর্মপাশায় কনে দেখতে গিয়ে নৌকাডুবি, উকিল ও শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার দুর্নীতি ও অপশাসনের কারণে দেশ পিছিয়ে আছে — এডভোকেট মুহাম্মদ শামস উদ্দিন সিলেটের পাথর কুয়ারী লুটপাটে জামায়াত জড়িত নয়: প্রমাণের চ্যালেঞ্জ নেতৃবৃন্দের ছাতকে বিদেশি রিভলভার উদ্ধার সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মো. সারোয়ার আলম তাহিরপুরে ডা. মির্জা রিয়াদ হাসানের স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দোয়ারাবাজারে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুইজন নিহত তাহিরপুরে স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ডাক্তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষের দাবি প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন

এস এম মিজানুর রহমান :
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • / 198
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাবিটা স্কীম প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষের দাবী প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার( ১২) মার্চ দুপুর ১২ ঘটিকায় শহীদ মুক্তিযুদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে হাওড় বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির আয়োজনে  সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

হাওড় বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি অধ্যক্ষ চিত্ত রন্জন তালুকদারের সভাপতিত্বে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলনের সঞ্চালনায়, বক্তব্য রাখেন হাওড় বাচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি আসাদুল্লাহ সরকার,কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়। হাওড় বাচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল, জেলা কমিটির সহ সভাপতি আলীনুর প্রমুখ।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঢিলেঢালা ভাবে বাঁধের কাজ করা হয়েছে।
গা ছাড়া কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্বায়মুক্তি পাবে না। অপ্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণ করে শুধু শুধু লোটপাট এবং দুর্নীতি হয়েছে।

উল্লেখ যে, চলতি বোর মৌসমে হাওড়ে ফসলের সুরক্ষায় বাঁধ নির্মাণের জন্য ১২৭ কোটি টাকা বরাদ্দে ৬৮৬টি প্রকল্পের   অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারী ২৫ কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু  মার্চের ১০ তারিখ সময় বাড়ানোর পরও হাওড়ের অনেক বাঁধে দরমুজ, ড্রেসিং, ঘাস লাগানো হয়নি। কাগজে কলমে শতভাগ কাজ শেষ হলেও বাস্তবে ৭৫ ভাগ কাগজও শেষ হয়নি।

এছাড়াও বক্তারা অভিযোগ করেন,  পুরাতন বাঁধকে মেশিন দিয়ে মাটি কুড়ে নতুন করা হয়েছে। অনেক জায়গায় ক্লোজারের কাজ পরিপুর্ণভাবে সম্পন্ন হয়নি।

তাই আগামী দিনে হাওরাঞ্চলের ফসল হুমকির সম্মুখীন, হাওরপাড়ের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর দায় কতৃপক্ষকে নিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষের দাবি প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

কাবিটা স্কীম প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষের দাবী প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার( ১২) মার্চ দুপুর ১২ ঘটিকায় শহীদ মুক্তিযুদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে হাওড় বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির আয়োজনে  সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

হাওড় বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি অধ্যক্ষ চিত্ত রন্জন তালুকদারের সভাপতিত্বে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলনের সঞ্চালনায়, বক্তব্য রাখেন হাওড় বাচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি আসাদুল্লাহ সরকার,কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়। হাওড় বাচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল, জেলা কমিটির সহ সভাপতি আলীনুর প্রমুখ।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঢিলেঢালা ভাবে বাঁধের কাজ করা হয়েছে।
গা ছাড়া কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্বায়মুক্তি পাবে না। অপ্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণ করে শুধু শুধু লোটপাট এবং দুর্নীতি হয়েছে।

উল্লেখ যে, চলতি বোর মৌসমে হাওড়ে ফসলের সুরক্ষায় বাঁধ নির্মাণের জন্য ১২৭ কোটি টাকা বরাদ্দে ৬৮৬টি প্রকল্পের   অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারী ২৫ কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু  মার্চের ১০ তারিখ সময় বাড়ানোর পরও হাওড়ের অনেক বাঁধে দরমুজ, ড্রেসিং, ঘাস লাগানো হয়নি। কাগজে কলমে শতভাগ কাজ শেষ হলেও বাস্তবে ৭৫ ভাগ কাগজও শেষ হয়নি।

এছাড়াও বক্তারা অভিযোগ করেন,  পুরাতন বাঁধকে মেশিন দিয়ে মাটি কুড়ে নতুন করা হয়েছে। অনেক জায়গায় ক্লোজারের কাজ পরিপুর্ণভাবে সম্পন্ন হয়নি।

তাই আগামী দিনে হাওরাঞ্চলের ফসল হুমকির সম্মুখীন, হাওরপাড়ের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর দায় কতৃপক্ষকে নিতে হবে।