ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকল ধর্মের মানুষের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করা হবে – তোফায়েল আহমদ খান কোটি টাকার ওষুধ নষ্ট হওয়ার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি ছাতকে ইউএনও ওসি’র সাথে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আড়াই কোটি টাকার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ জগন্নাথপুর উপজেলা উন্নয়ন সংস্থা ইউকে’র উদ্যোগে সেলাই মেশিন বিতরণ উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠন -সভাপতি তারা মিয়া, সম্পাদক ফজলুল হক ধর্মপাশায় কনে দেখতে গিয়ে নৌকাডুবি, উকিল ও শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার দুর্নীতি ও অপশাসনের কারণে দেশ পিছিয়ে আছে — এডভোকেট মুহাম্মদ শামস উদ্দিন সিলেটের পাথর কুয়ারী লুটপাটে জামায়াত জড়িত নয়: প্রমাণের চ্যালেঞ্জ নেতৃবৃন্দের ছাতকে বিদেশি রিভলভার উদ্ধার

নেতানিয়াহুকে চিঠি পাঠালেন মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিরা

আমার সুনামগঞ্জ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:২০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / 128
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজার নতুন সামরিক অভিযান বন্ধ করার এবং হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ৪০ জনসহ মোট ২৫০ জিম্মির পরিবারের সদস্যরা ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

তাদের দাবি, আলোচনার মাধ্যমে বাকি ৫৯ জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করা যেতে পারে। একই সঙ্গে তারা সতর্ক করেছেন যে, যদি তা না করা হয়, তবে জীবিত জিম্মিদের হত্যার শঙ্কা রয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যুদ্ধের কারণে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে, এবং যারা বেঁচে ফিরেছেন তাদের পরিবারে গভীর দুঃখের ছায়া বিরাজ করছে। যুদ্ধের অশান্তির মধ্যে অনেক পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে।

সেইসব পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে শান্তির পথ খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “যুদ্ধ বন্ধ করুন এবং আলোচনায় ফিরে আসুন, যাতে সকল জিম্মি ফিরে আসতে পারে।”

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, গাজার যুদ্ধে অনেক জিম্মি তাদের জীবন হারিয়েছে, তাদের হত্যার পর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। যুদ্ধের এই ভয়াবহতায় জীবিত জিম্মিদের হত্যা করা হচ্ছে, যা সত্যিকার বাস্তবতা। ৪১ জন জিম্মির মৃত্যুর পর, তাদের পরিবারের সদস্যরা এই যুদ্ধের সমালোচনা করেছেন এবং সরকারের কাছে ন্যায়ের দাবি জানিয়েছেন।

চিঠির শেষে সরকারের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, জিম্মিদের উদ্ধার বা মুক্তির জন্য যদি যুদ্ধ বন্ধ না করা হয়, তবে সেই সিদ্ধান্ত দায়ী হবে এবং সমস্ত জিম্মির ভবিষ্যত সরকারের হাতে থাকবে। এটি একটি অপরাধমূলক নীতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, এবং যুদ্ধের সমাপ্তি ও আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এছাড়া, জানুয়ারিতে ইসরাইল ও হামাস গাজার যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল, যা ৪২ দিন স্থায়ী ছিল। এর অধীনে হামাস ৩০ জীবিত জিম্মি ও ৮ মৃত জিম্মির দেহ ফেরত দেয় এবং তার বিনিময়ে ২ হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়।

তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইসরাইল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

নেতানিয়াহুকে চিঠি পাঠালেন মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিরা

আপডেট সময় : ০৩:২০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

গাজার নতুন সামরিক অভিযান বন্ধ করার এবং হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ৪০ জনসহ মোট ২৫০ জিম্মির পরিবারের সদস্যরা ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

তাদের দাবি, আলোচনার মাধ্যমে বাকি ৫৯ জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করা যেতে পারে। একই সঙ্গে তারা সতর্ক করেছেন যে, যদি তা না করা হয়, তবে জীবিত জিম্মিদের হত্যার শঙ্কা রয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যুদ্ধের কারণে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে, এবং যারা বেঁচে ফিরেছেন তাদের পরিবারে গভীর দুঃখের ছায়া বিরাজ করছে। যুদ্ধের অশান্তির মধ্যে অনেক পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে।

সেইসব পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে শান্তির পথ খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “যুদ্ধ বন্ধ করুন এবং আলোচনায় ফিরে আসুন, যাতে সকল জিম্মি ফিরে আসতে পারে।”

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, গাজার যুদ্ধে অনেক জিম্মি তাদের জীবন হারিয়েছে, তাদের হত্যার পর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। যুদ্ধের এই ভয়াবহতায় জীবিত জিম্মিদের হত্যা করা হচ্ছে, যা সত্যিকার বাস্তবতা। ৪১ জন জিম্মির মৃত্যুর পর, তাদের পরিবারের সদস্যরা এই যুদ্ধের সমালোচনা করেছেন এবং সরকারের কাছে ন্যায়ের দাবি জানিয়েছেন।

চিঠির শেষে সরকারের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, জিম্মিদের উদ্ধার বা মুক্তির জন্য যদি যুদ্ধ বন্ধ না করা হয়, তবে সেই সিদ্ধান্ত দায়ী হবে এবং সমস্ত জিম্মির ভবিষ্যত সরকারের হাতে থাকবে। এটি একটি অপরাধমূলক নীতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, এবং যুদ্ধের সমাপ্তি ও আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এছাড়া, জানুয়ারিতে ইসরাইল ও হামাস গাজার যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল, যা ৪২ দিন স্থায়ী ছিল। এর অধীনে হামাস ৩০ জীবিত জিম্মি ও ৮ মৃত জিম্মির দেহ ফেরত দেয় এবং তার বিনিময়ে ২ হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়।

তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইসরাইল