জেলা আ’লীগ সভাপতি ও সম্পাদকের বক্তব্য নির্লজ্জ মিথ্যাচার, অগঠনতান্ত্রিক-নুরুল হুদা মুকুট

- আপডেট সময় : ০৯:২২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুনামগঞ্জ জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট বলেছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় শৃঙ্খলা অমান্য করার অভিযোগে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি পদসহ দলীয় পদবী থেকে জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক অব্যাহতি প্রদান করেছেন বলে নিলর্জ্জ মিথ্যাচার চালাচ্ছেন।
শুনতে পাচ্ছি, জেলা আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বিগত জরুরী সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাকে নাকি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে ওই জরুরী সভায় এবিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি এবং কেউ আমাকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধও করেন নি। জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এ ধরনের বক্তব্য একটি নির্লজ্জ মিথ্যাচার যা অগঠনতান্ত্রিক, অগণতান্ত্রিক ও এখতিয়ার বহির্ভূত। আমি এসব বে-আইনি কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানাই।
আজ মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, গঠনতন্ত্রের ৪৬ ধারায় বর্ণিত আছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কারণ দর্শানোর জন্য সুযোগদানে সাধারণ সম্পাদক নোটিশ দিতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু আমাকে এখনো কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় নি। নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটরদের বিভ্রান্ত করতেই তারা এ সকল কার্যকলাপ করছেন।
তিনি বলেন, আমি কোনদিনও দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করিনি। যদি আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী দলীয় প্রতীক নৌকা পেতেন তাহলে আমি অবশ্যই নির্বাচন বর্জন করতাম। বরং স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধীতা করেছেন।
নুরুল হুদা মুকুট বলেন, আ’লীগের অসময়ে সুনামগঞ্জের রাজপথে থেকে লড়াই করেছি। তখন কোন অতিথি পাখিকে সুনামগঞ্জের রাজপথে দেখা যায় নি। এখন আ’লীগের সু-সময়ে তারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন।
তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের রাজপথে বিএনপি এখন বড় বড় মিছিল বের করছে। আর জেলা আ’লীগ সভাপতি ও সম্পাদক তারা এ সময় ঘাপটি মেরে বসে থাকেন। এদের দ্বারা শুধু সংগঠন দুর্বল করা সম্ভব। সামনে আমাদের জন্য কঠিন সময় আসছে। তাই জেলা আ’লীগকে আরো শক্তিশালী করতে তিনি নতুন কমিটি গঠনের আহব্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল কবির শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু শঙ্কর চন্দ্র দাস, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. আব্দুল করিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এড. আজাদুল ইসলাম রতন, বন বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, মানব বিষয়ক সম্পাদক শীতেষ তালুকদার মঞ্জু, তাহিরপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক অমল কান্তি কর, দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশারফ হোসন, জেলা আ’লীগের সদস্য এড কল্লোল তালুকদার চপল, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য সবুজ কান্তি দাস প্রমুখ।