কাঠইর ইউনিয়নের এরালিয়া-ছোয়াপুর রাস্তার কাজ বন্ধ: ভোগান্তিতে চার গ্রামের শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ

- আপডেট সময় : ০৪:১২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ২৮৫ বার পড়া হয়েছে
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের এরালিয়া বাজার হইতে ছোয়াপুর পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তার কাজ দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকার কারনে ভোগান্তিতে তেতুইয়া, এরালিয়া, ছোয়াপুরসহ প্রায় চার পাঁচ গ্রামের বাসিন্দারা।
রাস্তার উভয় পাশে লোহার রেলিং বসানো হলেও মূল রাস্তার কাজ না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে গ্রামবাসী, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের।
এ অবস্থায় দ্রুত কাজ শেষ করার দাবী স্থানীয় বাসিন্দাদের। দ্রুত নির্মাণ না হলে বৈশাখ মাসের সোনালী ফসল ঘোলায় তুলতে কৃষকদের নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হবে।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এরালিয়া বাজার হতে ছোয়াপুর ১ কিলোমিটার রাস্তার পুরো কাজের ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি টাকা।
এলজিইডি সুত্রে জানা যায়, কাজের দ্বায়িত্ব পান ইভা বিল্ডার্স। কার্যাদেশ ২০২৪ সালের চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা।
সরিজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটির দুপাশে লোহার রেলিং দেওয়া থাকলেও মুল রাস্তায় খানা খন্দক তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে পানি জমে আছে। কোন ধরনের যানবাহনসহ পথচারী চলাচলে প্রায় নিরুপায় এলাকাবাসী। এছাড়াও রাস্তার দু পাশে লোহার রড থাকায় অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
কাঠুইর ইউপি ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই রাস্তার ঠিক না হলে আমরা বৈশাখী ধান ঘোলায় তুলতে পারছি না। চার গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র চলার রাস্তাই এটি।
স্থানীয় বাসিন্দা মোশাহিদ মিয়া বলেন, দীর্ঘ ১ বছর ধরে কাজ বন্ধ থাকার ফলে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার। বিশেষ করে এই এলাকার পাঁচটি স্কুল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
ছোয়াপুরের বাসিন্দা এমরান আহমদ বলেন, রাস্তার দুই পাশে গার্ড ওয়াল দেওয়ার পরে আর কোন কাজ হয়নি, এলাকাবাসী মানববন্ধন বা চাপ প্রয়োগ করলে কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে এসে রাস্তায় অল্প মাঠি ফেলে চলে যায়।
ইভা বিল্ডার্সের প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন বলেন, আমি ইভা বিল্ডার্সের কাছ থেকে চুক্তিতে কাজটি এনেছি। রাস্তার কাজের মূল বরাদ্দ ২কোটি ৮০ লক্ষ হলেও মাত্র ১৮ লক্ষ টাকা বিল পেয়েছি। রাস্তার দু’পাশে গার্ডওয়াল নির্মাণ করেছি। বিট বালু না পাওয়ায় মুল রাস্তার কাজ শুরু করতে পারছি না। এই সপ্তাহের মধ্যে বিট বালু ফেলে সিসি ঢালাই শুরু করব। আশা করছি মেয়াদের আগে কাজ শেষ করতে পারব।

এলজিইডি সদর উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলেছি। তারা আজ কালের মধ্যেই রাস্তা নির্মাণের কাজটি শুরু করবে।