সুনামগঞ্জ ০৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সুনামগঞ্জে দুদকের গণশুনানিতে জনস্রোত, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার সাধারণ মানুষ বিশ্বম্ভরপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যায় আচরণের জবাব চান ভূক্তভোগী বজ্রের আঘাতে নিভল জীবনপ্রদীপ—চেলা নদীতে  ভেসে উঠল শ্রমিকের লাশ রাত যখন গভীর, র‍্যাব তখন জাগ্রত— ৩০৮ বোতলের ফাঁদ উন্মোচন তাহিরপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক কামাল হোসেন এর উপর হামলা মীমাংসিত ইতিহাসের অমীমাংসিত রাজনীতি স্বাধীনতার সঙ্গে বেঈমানি ও আওয়ামী লীগ আলহেরা তাহফিজুল কুরআন বিভাগের অভিভাবক সমাবেশ গ্যারেজে বিদ্যুৎ চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, সুনামগঞ্জে এক যুবকের মৃত্যু

বজ্রের আঘাতে নিভল জীবনপ্রদীপ—চেলা নদীতে  ভেসে উঠল শ্রমিকের লাশ

এস এম রহমান:
  • আপডেট সময় : ০৩:৩১:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের চেলা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বজ্রপাতে নিখোঁজ হওয়া এক তরুণ বালু শ্রমিকের লাশ।

নিহত যুবক রুবেল মিয়া (২২), সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কাঁঠালবাড়ি গ্রামের মৃত মাশুক মিয়ার পুত্র।

রবিবার (১৮ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে দোয়ারাবাজার উপজেলার শারপিনপাড়া এলাকায় চেলা নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা দোয়ারাবাজার থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক।

এর আগে শুক্রবার (১৬ মে) দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে শারপিনপাড়া এলাকায় চেলা নদীতে বালু উত্তোলনের সময় আকস্মিক বজ্রপাতে রুবেল মিয়া নিখোঁজ হন। একই ঘটনায় আরও দুই শ্রমিক নিহত ও একজন গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে কোম্পানীগঞ্জের তেলিখাল এলাকা থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে বালু উত্তোলনের উদ্দেশ্যে শারপিনপাড়ায় পৌঁছান রুবেল ও তার সহকর্মীরা। ভোররাতের দিকে কাজ শুরুর সময় হঠাৎ বজ্রপাতের কবলে পড়ে তারা। তাৎক্ষণিকভাবে দুজন শ্রমিক প্রাণ হারান, একজন গুরুতর আহত হন এবং রুবেল নিখোঁজ হন।

পরদিন শনিবার দিনব্যাপী ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালালেও নিখোঁজ রুবেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত রবিবার তার নিথর দেহ ভেসে উঠে নদীতে।

বালুমহাল সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রাতের আঁধারে বালু উত্তোলনের ঝুঁকিপূর্ণ প্রবণতা এখনও থামছে না। দ্রুত মুনাফার আশায় অনেকেই নিরাপত্তা উপেক্ষা করে রাতভর কাজ করে থাকেন, যা প্রায়ই প্রাণঘাতী পরিণতির দিকে ঠেলে দেয় শ্রমিকদের।

রুবেল মিয়ার মৃত্যুতে তাঁর পরিবারে চলছে আহাজারি, আর পুরো কাঁঠালবাড়ি গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বজ্রের আঘাতে নিভল জীবনপ্রদীপ—চেলা নদীতে  ভেসে উঠল শ্রমিকের লাশ

আপডেট সময় : ০৩:৩১:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের চেলা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বজ্রপাতে নিখোঁজ হওয়া এক তরুণ বালু শ্রমিকের লাশ।

নিহত যুবক রুবেল মিয়া (২২), সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কাঁঠালবাড়ি গ্রামের মৃত মাশুক মিয়ার পুত্র।

রবিবার (১৮ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে দোয়ারাবাজার উপজেলার শারপিনপাড়া এলাকায় চেলা নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা দোয়ারাবাজার থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক।

এর আগে শুক্রবার (১৬ মে) দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে শারপিনপাড়া এলাকায় চেলা নদীতে বালু উত্তোলনের সময় আকস্মিক বজ্রপাতে রুবেল মিয়া নিখোঁজ হন। একই ঘটনায় আরও দুই শ্রমিক নিহত ও একজন গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে কোম্পানীগঞ্জের তেলিখাল এলাকা থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে বালু উত্তোলনের উদ্দেশ্যে শারপিনপাড়ায় পৌঁছান রুবেল ও তার সহকর্মীরা। ভোররাতের দিকে কাজ শুরুর সময় হঠাৎ বজ্রপাতের কবলে পড়ে তারা। তাৎক্ষণিকভাবে দুজন শ্রমিক প্রাণ হারান, একজন গুরুতর আহত হন এবং রুবেল নিখোঁজ হন।

পরদিন শনিবার দিনব্যাপী ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালালেও নিখোঁজ রুবেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত রবিবার তার নিথর দেহ ভেসে উঠে নদীতে।

বালুমহাল সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রাতের আঁধারে বালু উত্তোলনের ঝুঁকিপূর্ণ প্রবণতা এখনও থামছে না। দ্রুত মুনাফার আশায় অনেকেই নিরাপত্তা উপেক্ষা করে রাতভর কাজ করে থাকেন, যা প্রায়ই প্রাণঘাতী পরিণতির দিকে ঠেলে দেয় শ্রমিকদের।

রুবেল মিয়ার মৃত্যুতে তাঁর পরিবারে চলছে আহাজারি, আর পুরো কাঁঠালবাড়ি গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।