সুনামগঞ্জ ১১:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াতে ইসলামীর মার্কা কেন চাপাতি হবে?

পিনাকী ভট্টাচার্য
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫ ৭৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জামায়াতে ইসলামীর মার্কা কেন চাপাতি হবে? মানে তারা চাপাতি বেশী ব্যবহার করে? স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াত নিজে সাংগঠনিকভাবে সহিংসতায় লিপ্ত হয়েছে কি? আমার জানা নাই। তবে শিবির মাইরপিট করে, এটা ঠিক।

আমরা যখন ছাত্র সেই সময়ে শিবির সম্পর্কে একটা কথা বলা হতো যে শিবির রগ কাটে। শিবিরের সাথে মারামারিতে কিছু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের রগ কাটা গেছে মারাও গেছে অনেকে। কিন্তু ঠিক শিবিরকে কেন মাইরপিট করতে হইলো? বাংলাদেশে এমন কোন ছাত্র সংগঠন নাই যে খুনোখুনি করে নাই। আই রিপিট এমন কোন ছাত্র সংগঠন নাই। তাহলে শিবিরকে সিঙ্গেল আউট করে ডেমোনাইজ কেন করা হয়? শিবিরের সাথে সো কল্ড স্যেকুলারদের সাথে মাইরপিটের সময়ে আমি ছাত্র রাজনীতি করছি এবং বলতে পারেন সেই সংঘাতের কেন্দ্রে ছিলাম।

আমি রাজশাহীতে ছাত্র রাজনীতি করে আসছি। আর শিবিরের সাথে পোগতিশিলদের মারপিটের শুরু এই রাজশাহী থেকেই।

আসেন একটু ইতিহাস দেখি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত চল্লিশ বছরে মাইরপিটের বলি হইছে ২৪ জন ছাত্র। এর মধ্যে ছাত্র শিবিরের ১৬ জন, ছাত্রলীগের ৫ জন এবং ছাত্রদল, ছাত্রমৈত্রি, ছাত্র ইউনিয়নের ১ জন করে। আহত হইছে তিন সহস্রাধিক। মার খাইছে সবচেয়ে বেশী শিবির, কিন্তু এখন আপনারা কইতেছেন শিবির রগ কাটে। এইটা কোন ন্যায়ের কথা?

শুরুটা কীভাবে জানেন?

১৯৮২ সালে শিবির নবীন বরণ করতে গেছিলো। পোগতিশিলরা ঝাপায়ে পড়ে শিবিরের উপরে। অপ্রস্তুত অবস্থায় মাইর খাইয়া ৪ জন শিবিরের নেতা-কর্মী নিহত হয়। চার জন, সংখ্যাটা ফেলে দেয়ার মতো না। শুরুটা করলো কে? শিবির করছে? নাকি পোগতিশিলরা করছে?

শিবির সন্দেহে এখন আবরারকে যেইভাবে পিটানো হয় সেইসময়ে শিবিরের উপরে কারণে অকারণে একইভাবে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঝাপাইয়া পড়তো। নির্বিচারে পিটাইতো।

এখন আমারে বুঝান। শিবিরের এরপরে কী করা উচিৎ ছিলো? মাইরের পরে মাইর খাইয়া যাওয়া? নাকি প্রতিরোধের এবং প্রয়োজনে প্রত্যাঘাতের সামর্থ্য অর্জন করা?

জামায়াত বা শিবিরের রাজনীতির মধ্যে সশস্ত্রতার কোন উপাদান নাই। রাজনৈতিকভাবে সশস্ত্রতার পক্ষে নয় এমন একটা দলকে পোগতিশিলেরা সহিংস হতে বাধ্য করেছে। এটার দায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ নামের বামপন্থীদের। আপনি যেই কারেন্সিতে এক্সচেঞ্জ করতে গেছেন সেই কারেন্সিতেই রিটার্ন পাইছেন। এখন কান্নাকাটি করে লাভ কী? আপনি টাকায় এক্সচেঞ্জ করতে গিয়া ডলারে রিটার্ন চাইলে হবে? চড়ের বদলে বাংলাদেশে থাপ্পড় দিতে জানতে হয়, নাহলে মাথায় বসে মুত্র ত্যাগ করে সবাই। তবে শিবির যে সবই অপপ্রচার বলে চালায় সেইটাও ঠিক না। সমস্যা কী বললে, ভাই মারতে এসে মাইর খেয়ে গেলে আমার দোষ কেন হবে? আমি তো আগ বাড়ায়ে কাউরে মারতে যাই নাই। এইটা বলে না কেন শিবির তা আমার বিস্ময়।

একটু রাজনীতি সমাজ রাষ্ট্র বুঝলে সেইদিন বুঝবেন বাংলাদেশের মতো দেশে জামায়াতের মতো একটা ইসলামী দলের প্রয়োজন ছিলো। এই কথাটা বাংলাদেশে কেউ সাহস কইর‍্যা কইবেনা। কারণ কইলে পোগতিশিলদের খাতা থেকে নাম কাটা যাবে। কেন প্রয়োজন ছিলো এইটা বুঝার জন্য কেউ আলাপ করতে চাইলে আমার লগে আলাপ করতে পারেন। কিন্তু মনে রাইখেন, আমি ইন্টেলিজেন্ট লোকের সাথে আলাপ করি, বেকুবদের সাথে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জামায়াতে ইসলামীর মার্কা কেন চাপাতি হবে?

আপডেট সময় : ০৫:৩৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

জামায়াতে ইসলামীর মার্কা কেন চাপাতি হবে? মানে তারা চাপাতি বেশী ব্যবহার করে? স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াত নিজে সাংগঠনিকভাবে সহিংসতায় লিপ্ত হয়েছে কি? আমার জানা নাই। তবে শিবির মাইরপিট করে, এটা ঠিক।

আমরা যখন ছাত্র সেই সময়ে শিবির সম্পর্কে একটা কথা বলা হতো যে শিবির রগ কাটে। শিবিরের সাথে মারামারিতে কিছু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের রগ কাটা গেছে মারাও গেছে অনেকে। কিন্তু ঠিক শিবিরকে কেন মাইরপিট করতে হইলো? বাংলাদেশে এমন কোন ছাত্র সংগঠন নাই যে খুনোখুনি করে নাই। আই রিপিট এমন কোন ছাত্র সংগঠন নাই। তাহলে শিবিরকে সিঙ্গেল আউট করে ডেমোনাইজ কেন করা হয়? শিবিরের সাথে সো কল্ড স্যেকুলারদের সাথে মাইরপিটের সময়ে আমি ছাত্র রাজনীতি করছি এবং বলতে পারেন সেই সংঘাতের কেন্দ্রে ছিলাম।

আমি রাজশাহীতে ছাত্র রাজনীতি করে আসছি। আর শিবিরের সাথে পোগতিশিলদের মারপিটের শুরু এই রাজশাহী থেকেই।

আসেন একটু ইতিহাস দেখি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত চল্লিশ বছরে মাইরপিটের বলি হইছে ২৪ জন ছাত্র। এর মধ্যে ছাত্র শিবিরের ১৬ জন, ছাত্রলীগের ৫ জন এবং ছাত্রদল, ছাত্রমৈত্রি, ছাত্র ইউনিয়নের ১ জন করে। আহত হইছে তিন সহস্রাধিক। মার খাইছে সবচেয়ে বেশী শিবির, কিন্তু এখন আপনারা কইতেছেন শিবির রগ কাটে। এইটা কোন ন্যায়ের কথা?

শুরুটা কীভাবে জানেন?

১৯৮২ সালে শিবির নবীন বরণ করতে গেছিলো। পোগতিশিলরা ঝাপায়ে পড়ে শিবিরের উপরে। অপ্রস্তুত অবস্থায় মাইর খাইয়া ৪ জন শিবিরের নেতা-কর্মী নিহত হয়। চার জন, সংখ্যাটা ফেলে দেয়ার মতো না। শুরুটা করলো কে? শিবির করছে? নাকি পোগতিশিলরা করছে?

শিবির সন্দেহে এখন আবরারকে যেইভাবে পিটানো হয় সেইসময়ে শিবিরের উপরে কারণে অকারণে একইভাবে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঝাপাইয়া পড়তো। নির্বিচারে পিটাইতো।

এখন আমারে বুঝান। শিবিরের এরপরে কী করা উচিৎ ছিলো? মাইরের পরে মাইর খাইয়া যাওয়া? নাকি প্রতিরোধের এবং প্রয়োজনে প্রত্যাঘাতের সামর্থ্য অর্জন করা?

জামায়াত বা শিবিরের রাজনীতির মধ্যে সশস্ত্রতার কোন উপাদান নাই। রাজনৈতিকভাবে সশস্ত্রতার পক্ষে নয় এমন একটা দলকে পোগতিশিলেরা সহিংস হতে বাধ্য করেছে। এটার দায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ নামের বামপন্থীদের। আপনি যেই কারেন্সিতে এক্সচেঞ্জ করতে গেছেন সেই কারেন্সিতেই রিটার্ন পাইছেন। এখন কান্নাকাটি করে লাভ কী? আপনি টাকায় এক্সচেঞ্জ করতে গিয়া ডলারে রিটার্ন চাইলে হবে? চড়ের বদলে বাংলাদেশে থাপ্পড় দিতে জানতে হয়, নাহলে মাথায় বসে মুত্র ত্যাগ করে সবাই। তবে শিবির যে সবই অপপ্রচার বলে চালায় সেইটাও ঠিক না। সমস্যা কী বললে, ভাই মারতে এসে মাইর খেয়ে গেলে আমার দোষ কেন হবে? আমি তো আগ বাড়ায়ে কাউরে মারতে যাই নাই। এইটা বলে না কেন শিবির তা আমার বিস্ময়।

একটু রাজনীতি সমাজ রাষ্ট্র বুঝলে সেইদিন বুঝবেন বাংলাদেশের মতো দেশে জামায়াতের মতো একটা ইসলামী দলের প্রয়োজন ছিলো। এই কথাটা বাংলাদেশে কেউ সাহস কইর‍্যা কইবেনা। কারণ কইলে পোগতিশিলদের খাতা থেকে নাম কাটা যাবে। কেন প্রয়োজন ছিলো এইটা বুঝার জন্য কেউ আলাপ করতে চাইলে আমার লগে আলাপ করতে পারেন। কিন্তু মনে রাইখেন, আমি ইন্টেলিজেন্ট লোকের সাথে আলাপ করি, বেকুবদের সাথে না।