গতকাল বৃহস্পতিবার(২৭ফেব্রুয়ারি) সর্বজন শ্রদ্বেয় খলীফায়ে মাদানি হজরত শায়েখে গাজিনগরী (রহঃ) এর গ্রাম দরগাহপুর এবং গাজিনগরে সৈয়দ তালহা আলমের পক্ষ থেকে শতাধিক পরিবারে রমজানের উপহার বিতরণ করেন।

উপস্থিত ছিলেন হাফিজ মাওলানা এমদাদুল হক হাসারচরী, মাওলানা হোসাইন আহমদ খান, গ্রামের মুরুব্বীয়ান এবং তরুণ সমাজ।

সার্বিক তত্থাবধানে ছিলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা জমিয়ত সাধারণ সম্পাদক এম আব্দুল হাফিজ, শায়েখে গাজিনগরীর প্রৌপুত্র মাওলানা আব্দুল্লাহ গাজিনগরী, সুনামগঞ্জ যুব জমিয়ত সভাপতি মাওলানা কবির আহমদ খান এবং শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুব জমিয়ত সভাপতি মাওলানা শহিদুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তালহা আলম উনাদের রাহবার শায়েখে গাজিনগরীর স্মৃতিচারণ করেন এবং জমিয়তকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবার কাছে আহবান জানান।

আজ, শুক্রবার, সকাল ১১টার সময় শায়েখে কাতিয়া (রহঃ) স্মৃতিবিজড়িত দারুল উলুম কাতিয়া এবং অলইতলী মাদ্রাসার প্রাঙ্গনে জগন্নাথপুরের কাতিয়া অঞ্চলে রমজানের উপহার নিয়ে যান।

সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জগন্নাথপুর উপজেলা জমিয়ত সদস্য সচিব মাওলানা এরশাদ খান আল হাবিব এবং পাইলগাঁও ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তালহা আলম বলেন যে এক ব্যাক্তির পক্ষে ১৪৫টি সেন্টার এবং প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্রামে উপহার নিয়ে যাওয়া সম্ভব না, তাই আমি আমাদের ২ রাহবার শায়েখে কাতিয়া এবং শায়েখে গাজিনগরীর গ্রামে উপহার নিয়ে আসলাম।

সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তীদের মাথার তাজ উনারা ২জন। এই কাতিয়া থেকে আমার নির্বাচনী যাত্রা শুরু হয়েছিল। তারপর জনতার চেয়ারম্যান হওয়া এবং হাজার হাজার ভোট পাওয়া ইতিহাস।

জীবনে বারবার এখানে ফিরে আসতে চাই।
সর্বসাকুল্যে ২শতাদিকের বেশী পরিবারকে রমজানের উপহার দিলেন সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়ত (মুফতি ওয়াক্কাস) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী তালহা আলম।

উল্লেখ্য তালহা আলম বিগত ২ উপজেলার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এবং অল্প ব্যাবধানে হেরে যান। আগামী সংসদ নির্বাচনে তালহা আলম প্রতিদ্বন্ধীতা করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং বর্তমানে তার দলমত নির্বিশেষে অনেক শক্ত অবস্থান রয়েছে।