ঢাকা ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উগ্র কর্মকাণ্ড ও গুমের অভিযোগে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি নাগরিকসমাজের হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার প্রয়োজন – তোফায়েল আহমদ খান ভিজিডি উপকারভোগীদের ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তাহিরপুরের শ্রীপুর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাংগুয়ার হাওরে ঘুরতে এসে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু মনোনয়ন চান বিএনপির ২ নেতা একক প্রার্থী অন্য দলের উপজেলা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টির আলোচনা সভা সুনামগঞ্জ শিবিরের দারসুল কুরআন অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ ১ আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এমপির পথসভা জনসভায় পরিণত বিশ্বম্ভরপুরে তাহিয়া একাডেমির আয়োজনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দৌড়: মাঠে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা

জলমহালে অবৈধভাবে মাছ আহরণ রোধে জনসচেতনতা কার্যক্রম ও প্রশাসনের আইনি পদক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • / 151
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দিরাই, শাল্লা ও জামালগঞ্জ থানার বিভিন্ন জলমহালে দলবদ্ধভাবে স্থানীয় গ্রামবাসী ইজারাদারদের অনুমতি ছাড়া ও তাদের অনুপস্থিতিতে অবৈধভাবে মাছ আহরণ করছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করছে এবং অবৈধভাবে মাছ আহরণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

এ ধরনের অনৈতিক ও বেআইনি কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে স্থানীয় জনগণের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজের পর দিরাই থানাধীন শ্যামারচর এলাকায় সচেতনতামূলক সভা করা হয়।

সুনামগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন), পুলিশ সুপার (সাময়িক দায়িত্ব) তাপস রঞ্জন ঘোষ স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তারা বলেন, জলমহালের ইজারাদারদের অনুমতি ছাড়া তাদের অনুপস্থিতিতে মাছ আহরণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং অনৈতিক।

যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসন সবসময় তৎপর রয়েছে এবং কেউ বেআইনিভাবে জলমহালের সম্পদ দখল বা আহরণ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে জলমহাল থেকে অবৈধভাবে মাছ আহরণকারীদের গ্রেফতারপূর্বক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তারা আরও বলেন, জলমহালের সম্পদ রক্ষায় জনগণকে সচেতন থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে কেউ অবৈধভাবে জলমহালের সম্পদ দখল বা আহরণে যুক্ত হতে না পারে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দিরাই ও শাল্লা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ জনগণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

জলমহালে অবৈধভাবে মাছ আহরণ রোধে জনসচেতনতা কার্যক্রম ও প্রশাসনের আইনি পদক্ষেপ

আপডেট সময় : ১১:৩৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

দিরাই, শাল্লা ও জামালগঞ্জ থানার বিভিন্ন জলমহালে দলবদ্ধভাবে স্থানীয় গ্রামবাসী ইজারাদারদের অনুমতি ছাড়া ও তাদের অনুপস্থিতিতে অবৈধভাবে মাছ আহরণ করছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করছে এবং অবৈধভাবে মাছ আহরণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

এ ধরনের অনৈতিক ও বেআইনি কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে স্থানীয় জনগণের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজের পর দিরাই থানাধীন শ্যামারচর এলাকায় সচেতনতামূলক সভা করা হয়।

সুনামগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন), পুলিশ সুপার (সাময়িক দায়িত্ব) তাপস রঞ্জন ঘোষ স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তারা বলেন, জলমহালের ইজারাদারদের অনুমতি ছাড়া তাদের অনুপস্থিতিতে মাছ আহরণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং অনৈতিক।

যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসন সবসময় তৎপর রয়েছে এবং কেউ বেআইনিভাবে জলমহালের সম্পদ দখল বা আহরণ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে জলমহাল থেকে অবৈধভাবে মাছ আহরণকারীদের গ্রেফতারপূর্বক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তারা আরও বলেন, জলমহালের সম্পদ রক্ষায় জনগণকে সচেতন থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে কেউ অবৈধভাবে জলমহালের সম্পদ দখল বা আহরণে যুক্ত হতে না পারে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দিরাই ও শাল্লা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ জনগণ।